মেহেরপুর
দাম বেশি, চাহিদা মতো সবজি কিনছেন না ক্রেতারা
মেহেরপুরে বেগুন, শসাসহ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বেড়েছে লেবু ও পেঁয়াজের দামও। ফলে রমজানের আগে দিন বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। দাম বেশি থাকায় চাহিদা মতো সবজি না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটা জানা যায়।
মেহেরপুর বড় বাজারে পাইকারি প্রতিকেজি বেগুন ৫৫ টাকা বিক্রি করছেন কৃষকরা। সেই বেগুন খুচরা বাজারে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা। একইভাবে পাইকারি বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি শসা ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।
এ বিষয়ে বিক্রেতা বিপ্লব হোসেন বলেন, বাজারে শসার অনেক চাহিদা থাকায় দাম বেশি।
অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজ ও আদার দাম। বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ১২০-১৩০ টাকার মধ্যে ছিল। এছাড়া ২০-২৫ টাকার মধ্যে থাকা পেঁয়াজ এখন ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আদা-পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে মেহেরপুর বড় বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আব্দুস সামাদ বলেন, চীনে আদার দাম বেড়েছে। সরবরাহ কম আছে পেঁয়াজের। তাই দামও বেশি রাখতে হচ্ছে।
অন্যদিকে মেহেরপুরে দেড়মাস থেকে চালের বাজার স্থির আছে। তবে সেটা স্বস্তি দেওয়ার মতো না। মোটা বা স্বর্ণ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৬ টাকা কেজি, আটাশ ৫৬-৫৮, মিনিকেট ৬৫-৬৮, বাসমতি ৮০-৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজির ভরপুর সরবরাহ আছ। এরপরও দাম বেশি। শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, সজনে ডাটা ১০০, উস্তে ১০০ টাকা। তবে আলুর দাম ১৬–২০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে।
অপরদিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি। একইভাবে সোনালি মুরগি ৩৫০ ও লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানান, দাম অনেক বেশি। ফলে চাহিদা মতো বাজার না কিনতে পারছেন না তারা। এভাবে দাম বাড়তি থাকলে না খয়ে থাকতে হবে তাদের।
ব্যবসায়ী হাফিজুল বলেন, বাজারে মুরগির ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু সরবরাহ কম। পাশাপাশি মুরগির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের দাম বাড়তি। ফলে মুরগি বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া মাছের বাজার আগুন। ১৭০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই।
বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জিবরাইল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যারা বেশি দামে পণ্য বিক্রি করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এসজে/জিকেএস