ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মর্টারশেল কেটে ‘গুপ্তধন’ বের করার চেষ্টা, গোড়ালি উড়লো যুবকের

জেলা প্রতিনিধি | কুড়িগ্রাম | প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, ২২ মার্চ ২০২৩

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় গুপ্তধন ভেবে কুড়িয়ে পাওয়া পরিত্যক্ত মর্টারশেল বিস্ফোরণে বাবু মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তির ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বাম পা ঝলসে গেছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের মেসার্স সাহা ফিলিং স্টেশনের পেছনে তার নিজ বাড়িতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আহত বাবু মিয়া ওই এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন লেদ মিস্ত্রি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা

স্থানীয়রা জানায়, মাটি কাটার কাজ করেন বাবু মিয়ার মামা আব্দুল গফুর। একই গ্রামের আজিজ কমান্ডারের বাড়ির পাশে পুকুরের মাটি কাটার সময় তিনি লোহাসদৃশ একটি ভারী বস্তু দেখতে পান। পরে সেটাকে গুপ্তধন ভেবে গোপনে এনে বাবুকে দেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবু তার নিজ বাড়ির রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে রাইস কুকারের লাইন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন। পরে লোহা কাটার গ্রান্ডার মেশিন দিয়ে মর্টারশেলটি কেটে গুপ্তধন বের করতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।

মর্টারশেলটি বিস্ফোরিত হয়ে রান্নাঘরের টিনের বেড়া ছিঁড়ে লোহার গেট ছিদ্র করে পার্শ্ববর্তী ফিলিং স্টেশনের সীমানা প্রাচীরে গিয়ে আছড়ে পড়ে। এতে বাবুর ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন এবং অপর পা ঝলসে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

এ ঘটনার পর থেকে বাবুর মামা গফুর পলাতক। ধারণা করা হচ্ছেম মর্টারশেলটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের।

ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এটি পরিত্যক্ত মর্টারশেল ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ফজলুল করিম ফারাজী/এসআর/জিকেএস