বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরলেন ইউএনও, নিলেন ক্লাসও
পড়াশোনার মানোন্নয়নে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ঘুরে দেখেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন নির্দেশনার পাশাপাশি ক্লাসও নেন ইউএনও।
নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শনের একপর্যায়ে নবম ও দশম শ্রেণির শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন ইউএনও বেলাল হোসেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় শেষে উচ্চতর গণিত বিষয়ের ত্রিকোণমিতির ওপর ক্লাস নেন তিনি। শিক্ষার্থীরাও মনোযোগ দিয়ে তার ক্লাস করেন।
শিক্ষার্থী জ্যোতি, সাইমা, রায়হান ও হাসান আলী জানায়, স্কুলে আমাদের গণিত ক্লাস চলছিল। এ সময় হঠাৎ ইউএনও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন। তিনি আমাদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন। পরে উচ্চতর গণিত বিষয়ের ত্রিকোণমিতির বিষয়ের ওপর ক্লাস নেন। ইউএনও সুন্দরভাবে ক্লাস নিয়েছেন। আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।
বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা দড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন ইউএনও। এ সময় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ, বঙ্গবন্ধু কর্নার, শেখ রাসেল কর্নার, লাইব্রেরি, শিক্ষা উপকরণ ও বিদ্যালয় আঙিনায় ফুলের বাগান ঘুরে দেখেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন।
দুপুরে ইউএনও বেলাল হোসেন মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোবিন্দাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং শিক্ষা ও পড়াশোনা মানোন্নয়নে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন। এরআগে মাটিকাটা স্কুলের পাশে গড়ে ওঠা দোকানপাটে যাতে বখাটে যুবকরা আড্ডা না দিতে পারে এ বিষয়েও দোকানিদের কঠোর নির্দেশ দেন তিনি।
বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এম.জি মাহমুদ ইজদানাী, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও রেজাউল ইসলাম, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, অর্থ সম্পাদক কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফরমান শেখ।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন জানান, সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার স্যারের নির্দেশনায় সকলকে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত পরিদর্শন করে যাচ্ছি। পরিদর্শনকালে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষাদান কার্যক্রম, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নারসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ আমাকে মুগ্ধ করেছে। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সকলকে অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে উপজেলার শিক্ষাক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
আরিফ উর রহমান টগর/এসজে/জেআইএম