হাত-পা-মুখ বেঁধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, অবস্থা আশঙ্কাজনক
মেহেরপুর সদর উপজেলায় হাত-পা বেঁধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রিগান হোসেন (৩৫) নামে অভিযুক্ত এক যুবককে আটক করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বুধবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাংনী উপজেলার খাসমহল গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক রিগান সদর উপজেলার তেরঘরিয়া গ্রামের কালাম আলীর ছেলে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে নারকীয় ধর্ষণের পর গাঢাকা দেয় অভিযুক্ত রিগান। পরে খাসমহল গ্রামে তার এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রী তিন দিন আগে নানাবাড়ি বেড়াতে যায়। বুধবার দুপুরে নানাবাড়িতে সে একাই ছিল। এ সুযোগে রিগান ওই বাড়িতে ঢুকে শিশুটির হাত-পা-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। মেয়েটির নানি এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার জাগো নিউজকে বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মেহেরপুর ডিবি শাখার পরিদর্শক রত্নেশ্বর জাগো নিউজকে বলেন, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিগানকে আটক করা হয়। মেহেরপুর সদর থানায় তাকে হস্তান্তর করা হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আসিফ ইকবাল/এসজে/এএসএম