বিয়ের শর্ত গর্ভপাত, অবশেষে ধর্ষণ মামলা
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে এক কিশোরী। এ ঘটনায় ইফাত মিয়া (২০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন কিশোরীর বাবা। পরে আদালত থেকে মোহনগঞ্জ থানাকে মামলাটি রেকর্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
শনিবার (১১ মার্চ) জেলার মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত ইফাত মিয়া বারহাট্টা উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে। আর ওই কিশোরী মোহনগঞ্জ পৌরশহরের বাসিন্দা। বর্তমানে সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইফাত মিয়া কিছুদিন ধরে কাজের সূত্রে মোহনগঞ্জ পৌরশহরে বসবাস করতেন। কিশোরীর বাসার পাশাপাশি বসবাসের কারণে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ইফাতের। প্রেমের সূত্র ধরে বারহাট্টার ডিজনি শিশুপার্কে ঘুরতে গিয়ে সেখানকার একটি কক্ষে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন ইফাত। পরে নানা জায়গায় নিয়ে ওই কিশোরীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে বিষয়টি কিশোরীর পরিবারে জানাজানি হয়। তখন উভয় পক্ষের পরিবার বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে। এতে ইফাতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও গর্ভের সন্তান নষ্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু এতে কিশোরীর পরিবারের লোকজন রাজি হয়নি।
কিছুদিন এভাবে যাওয়ার পর এ ঘটনায় গত ২ জানুয়ারি কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত মামলাটি ২৯ মার্চের মধ্যে রেকর্ডভুক্ত করতে মোহনগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইফাত মিয়া পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, ২৯ মার্চের মধ্যে রেকর্ডভুক্ত করার নির্দেশনা আছে। যথা সময়েই মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হবে। আমরা আসামিকে গ্রেফতারেরও চেষ্টা চালাচ্ছি।
এইচ এম কামাল/এফএ/জেআইএম