ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ত্রিভুজ প্রেমের বলি কলেজছাত্র শাহরিন

জেলা প্রতিনিধি | দিনাজপুর | প্রকাশিত: ০৭:২৩ পিএম, ০৯ মার্চ ২০২৩

ত্রিভুজ প্রেমের বলি হয়েছেন দিনাজপুর সিটি কলেজের ছাত্র শাহরিন আলম বিপুল (১৮)। মাথায় আঘাতের পর তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাররা একে অপরের বন্ধু হলেও বয়স এবং পড়ালেখায় অসমতা রয়েছে।

তারা হলেন- সদর উপজেলার শালকী বোয়ালমারী গ্রামের মো. রশিদের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন, শহরের পুরাতন ৬ নম্বর ব্লকের মো. উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে মো. শাকিব শাহরিয়ার, সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মো. আফজাল হোসেনের ছেলে মো. আশরাফুল হোসেন মিলন ও উপশহর ৭ নম্বর ব্লকের হাউজিং মোড় এলাকার মো. হামিদুর রহমানের ছেলে মো. আসিফ মাহমুদ হৃদয়।

আরও পড়ুন: ত্রিভুজ প্রেমের বলি ইমন, স্বীকারোক্তি প্রেমিকার

এদের মধ্যে মো. দেলোয়ার হোসেন এসএসসি পাস করে আর পড়ালেখা করে না, মো. শাকিব শাহরিয়ার বিবাহিত এবং একটি মুরগির দোকানে কাজ করেন, মো. আশরাফুল হোসেন মিলন একটি কারিগরি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও মো. আসিফ মাহমুদ হৃদয় ২০২১ সালে একটি সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে।

পুলিশ সুপার মো. শাহ ইফতেখার আহম্মেদ বলেন, গ্রেফতার মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে এক কলেজছাত্রীর পরিচয় হয়। কিছুদিন পর তার সঙ্গে সঙ্গে দিনাজপুর সিটি কলেজের ছাত্র শাহরিন আলম বিপুলের সখ্য হয়। মো. দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না। সে কারণে তিনি শাহরিন আলম বিপুলকে সরাসরি টার্গেট করে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনামাফিক মো. দেলোয়ার হোসেন তার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে শাহরিন আলম বিপুলকে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। পরে ফেসবুক আইডি থেকে শাহরিন আলম বিপুলের ছবি তোলার শখ চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। আর এটাকে হত্যার কৌশল হিসেবে বেছে নেয় তারা।

একটি ভুয়া আইডি খুলে তারা শাহরিনের সঙ্গে চ্যাটিং শুরু করেন। ছবি তোলার কথা বলে তাকে ক্যামেরা দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। তাদের কথায় শাহরিন আলম বিপুল তাদের ফাঁদে পা দেন। ঘটনার দিন কৌশলে তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে শাহরিন আলম বিপুলের মাথার আঘাত করেন। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে আটক করেন।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মমিনুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. মাসুম বিল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জিন্নাহ আল মামুন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

৬ মার্চ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে দিনাজপুর স্টেডিয়ামের পেছন থেকে শাহরিন আলম বিপুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এমদাদুল হক মিলন/আরএইচ/জেআইএম