মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে ইলিশ শিকার
পাঁচ নদীর বিভিন্ন অভয়াশ্রমে দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার মধ্যে দিয়ে নদীগুলো বয়ে গেছে।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার পর থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস পাঁচ নদীর ৩৭২ কিলোমিটার এলাকায় মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। এজন্য এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নিজ জেলার মৎস্য বিভাগ।
জানা গেছে, চাঁদপুর জেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার, ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার, ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তুম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা, চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এবং বরিশাল সদর উপজেলা, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জের আড়িয়াল খাঁ, কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা অভয়াশ্রমের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশালের মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, শিকার নিষিদ্ধ এলাকার মধ্যে জেলার আড়িয়াল খাঁ নদীর কিছু অংশ, গজারিয়া, কালাবদর, মেঘনা ও পটুয়াখালীর তেঁতুলিয়া নদী রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসময় অভয়াশ্রমে মাছ শিকার বন্ধ রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য বিভাগকে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অফিস থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য ইউনিয়নে ইউনিয়নে উঠান বৈঠক করা হয়েছে। এছাড়া জেলা টাস্কফোর্স মাছ শিকার বন্ধ রাখতে অভিযান চালাবে।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অভয়াশ্রমে আইন অমান্য করে মাছ শিকার করলে আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এছাড়া অভিযান চলাকালে নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফ কার্ডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
এমআরআর/এএসএম