গরু চোর ধরলেই লাখ টাকা পুরস্কার
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় আলোচিত চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ এবার গরু চোর ধরে আনলেই লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। পরে তিনি প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাগো নিউজকে তিনি নিজেই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
খালেদ সাইফুল্লাহ উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চরমোনাই পীরের উপদেষ্টা। তিনি হুজুর চেয়ারম্যান ও কমলনগরের পীর হিসেবেও পরিচিত।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি ইউনিয়নের লতিফ দুগ্ধ খামারের নৈশপ্রহরীর হাত-পা বেঁধে পাঁচটি গরু পিকআপযোগে নিয়ে যায় চোরের দল। এতে স্থানীয়দের মধ্যে গরু চুরি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এ নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছেন। এদিকে চেয়ারম্যানেরও তিনটি গরু চুরি হয়।
উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নে খালেদ সাইফুল্লাহর প্রতিষ্ঠিত আউলিয়া নগরস্থ আতহারুল উলুম মোহাম্মদিয়া মাদরাসায় তিনদিনব্যাপী তালিমি ইজতেমা আয়োজন করা হয়। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে আখেরি বয়ানে প্রকাশ্যে তিনি গরু চোর ধরে আনলে লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন। মূলত ইউনিয়নব্যাপী গরু চুরি রোধ করতেই তিনি এ পরিকল্পনা করেছেন। তবে চোরকে অবশ্যই তার কাছে ধরে আনতে হবে। তাহলে তিনি পুরস্কার দেবেন। এরপর চোরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে কয়েক মাস ধরে গরু চুরি ঘটনা বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি একটি খামারে ঢুকে নৈশপ্রহরীর হাত-পা বেঁধে পাঁচটি গরু নিয়ে গেছে চোরের দল। আমারও তিনটি গরু চুরি করা হয়েছে। এ চুরি বন্ধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জাগো নিউজকে বলেন, চোর ধরতে চেয়ারম্যানের পুরস্কার ঘোষণার বিষয়টি জানা নাই। এছাড়া চেয়ারম্যানের গরু চুরির ঘটনাও আমাদের জানানো হয়নি।
২০২১ সালের দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের গণসংযোগে ‘ব্যালটে হাত দিলেই জুতাপেটা থেরাপি’ ঘোষণা দেন চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ। গেলো বছর ১২ ফেব্রুয়ারি মাহফিলে ‘বিয়েবাড়িতে উচ্চশব্দে গানবাজনা করলেই ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা’ ও ১৮ আগস্ট রাতে সরকারি স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী খাসের হাট এলাকায় রাজনৈতিক সভা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন তিনি।
কাজল কায়েস/এসজে