ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নজর কেড়েছে লাখো বোতলের ছিপি দিয়ে তৈরি সরস্বতী মণ্ডপ

জেলা প্রতিনিধি | মুন্সিগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

মুন্সিগঞ্জ শহরের নয়াপাড়া এলাকায় লক্ষাধিক বোতলের ছিপি (মটকা) দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সরস্বতী পূজার মণ্ডপ। বিপুল পরিমাণ বোতলের ছিপি ককশিটে সাজিয়ে ব্যতিক্রম এ মণ্ডপটি তৈরি করেছেন স্থানীয় নয়াপাড়া নবীন সংঘ নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা। মণ্ডপটি দেখতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভিড় জমাচ্ছেন। এটি ভক্ত-দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ককশিটের ওপর লাল, হলুদ ও সাদা রঙের অসংখ্য বোতলের ছিপি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ফ্রেম। আর নান্দনিকভাবে তৈরি করা হয়েছে ১৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৩ ফুট প্রস্থের মূল মণ্ডপ। একইভাবে সাজানো হয়েছে ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের ফটক। প্রতিমার মুখ তৈরি করা হয়েছে সাগুদানা, শাড়ি আর প্লাস্টিকের দানা দিয়ে।

jagonews24

নয়াপাড়া নবীন সংঘের সাধারণ সম্পাদক কাজল চন্দ্র দাস জানান, মণ্ডপটি তৈরি করতে এক মাসেরও বেশি সময় লেগেছে। সংগঠনের সবাই বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত। রাতে বাড়িতে ফিরে রাত ৮টা থেকে ২-৩টা পর্যন্ত তারা মণ্ডপ তৈরির কাজ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা।

jagonews24

তিনি বলেন, প্রতিবছর এ এলাকার মণ্ডপটি ব্যতিক্রমভাবে সাজানো হয়। আগে ওয়ানটাইম গ্লাস, হোগলা পাতা, মসুর ডাল, পুঁথি, বাদামের খোসা দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। গত ১৩ বছর ধরে এভাবে মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে মানুষকে সৃজনশীল কর্ম দেখানোর জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর বোতলের ছিপি দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে।

jagonews24

দর্শনার্থী সুদীপ সাহা জাগো নিউজকে বলেন, ‌‌‘এক লাখেরও বেশি বোতলের ছিপি ব্যবহার করে মণ্ডপটি তৈরি করা হয়েছে। এটি খুবই সময়সাপেক্ষ কাজ। তবে কাজটি নান্দনিক হয়েছে। দেখে ভালো লাগছে।’

অতনু সাহা নামের আরেকজন বলেন, ‘অন্যান্য মণ্ডপ থেকে এখানকার মণ্ডপ ব্যতিক্রম হয়। এজন্য দেখতে এসেছি। এবারও দেখে ভালো লাগলো। লাল, হলুদ, সাদা রঙের বোতলের মুটকা (ছপি) দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে।’

আরেক ভক্ত দীপ্তি সাহা বলেন, ‘আসলাম, দেখে ভালো লাগলো। ইউনিক, অসাধারণ হয়েছে। অনেক মানুষ এসে দেখে যাচ্ছে।’

সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লোকনাথ দাস হৃদয় বলেন, নয়াপাড়া নবীন সংঘের সরস্বতী পূজা মানেই ব্যতিক্রম কিছু। ২০১০ সাল থেকে আমরা এমন আয়োজন করে আসছি। এবার বোতলের ছিপি দিয়ে মণ্ডপ, ফটক তৈরি করা হয়েছে।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/জিকেএস