‘এবার ঠ্যাঙ গুরি হুইততাম হারুম’
নোয়াখালীর কবিরহাটের ধানশালিক ইউনিয়নের খালপাড়ে ভাঙা ঘরে বসবাস করেন সকিনা খাতুন (৮১)। হিমশীতল ঠান্ডা নিবারণের কিছু না থাকায় অনেক কষ্টে দিনযাপন করছিলেন তিনি। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জেলা পুলিশের দেওয়া একটি কম্বল পেয়ে মহাখুশি এ বৃদ্ধা।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ঘরে চটের ব্যাগ দিয়ে বানানো ছোট্ট একটি কাঁথা রয়েছে। তা গায়ে দিলে পা খালি থাকে। ভাঙা ঘরের ঠান্ডা বাতাসে ঘুম আসে না। এবার ঠ্যাং গুরি হুইততাম হারুম (এবার পা ঢেকে শুতে পারবো)।
অশীতিপর এ বৃদ্ধার মতো তিন শতাধিক অসহায় লোকের মাঝে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) কবিরহাট থানায় কম্বল বিতরণ করে জেলা পুলিশ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ, কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মানবিক কাজের অংশ হিসেবে নোয়াখালীর ১০ থানায় পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/এমএস