নোয়াখালীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু, স্বজনদের দাবি ‘হত্যা’
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সুরাইয়া আক্তার (২১) নামের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার স্বজনদের দাবি, স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ছয়ানী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দোয়ালিয়া গ্রামের ঠাকুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সুরাইয়া আক্তার ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাহিদপুর গ্রামের মৃত দুলাল হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী ফয়সাল মাহমুদ পাভেলকে আটক করা হয়েছে।
সুরাইয়ার চাচা জাকির হোসেন ও নুর আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ৯ মাস আগে তাদের বাবাহারা ভাতিজির সঙ্গে দোয়ালিয়া গ্রামের মো. আবদুল্লাহর ছেলে ফয়সাল মাহমুদের বিয়ে হয়। সুরাইয়া তিন মাসের অন্তঃস্বত্তা ছিলেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালাতেন। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার পর বাবার বাড়ি চলে যেতেন সুরাইয়া।
স্বজনরদের দাবি, চার দিন আগে সুরাইয়া বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যান। এরপর থেকে স্বামীর পরিবারে ঝগড়া চলছিল। এ ঝগড়ার জের ধরে গত তিন দিন তাদের ঘরে কোনো খাবার রান্না হয়নি। এ কদিন তারা উপোস ছিলেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সুরাইয়া বাবার বাড়ি চলে যেতে চেষ্টা করলে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সুরাইয়ার শ্বশুর মো. আবদুল্লাহ বলেন, দুপুরের ভাত খেয়ে শুয়ে ছিলেন সুরাইয়া। হঠাৎ খিঁচুনি উঠলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ ঘটনায় সুরাইয়ার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/এএসএম