হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন
হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় উত্তরের জেলাগুলোতে জেঁকে বসেছে শীত। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবথেকে বেশি কষ্ট হচ্ছে ছিন্নমূল মানুষের। সন্ধ্যার পর থেকে ছিন্নমূল অসহায় মানুষেরা ফুটপাতে খড়-কুটায় আগুন জ্বালিয়ে নিবারণ করছে শীত।
গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যা থেকে পরদিন আধাবেলা পর্যন্ত থাকছে প্রচণ্ড শীতের দাপট। কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে সন্ধ্যার পর সাধারণ মানুষ গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া কেউ ঘর থেকে বেরোচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ট্রেনের ছাদে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণ গেলো ২ তরুণের
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে রংপুরের আকাশে সূর্যের দেখা মিললেও নেই উত্তাপ।
আজ সকালে রংপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া নীলফামারীর ডিমলায় ৮ দশমিক ৮, তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৪, সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ২ এবং দিনাজপুরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার পান দোকানি সুমন মিয়া বলেন, চলতি মৌসুমে দুদিন ধরে রংপুরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঘন কুয়াশাসহ হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ঠান্ডার কারণে পানি ব্যবহার করে পান বিক্রি করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ১৭ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ, অব্যাহত থাকতে পারে
হনুমানতলা এলাকার রিকশাচালক মনছুর আলী বলেন, শীতের কারণে রিকশা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার রিকশা না চললে পেটে ভাত পড়বে না। এ অবস্থায় আমাদের মতো দিনমজুর ও শ্রমিকদের জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ অঞ্চলের মধ্যে রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি শীত মৌসুমে রংপুরের তাপমাত্রা এত নিচে নামেনি।
এ অবস্থা আরও দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত
রংপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত রংপুর জেলায় ৫৯ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। দুই-চার দিনের মধ্যে ৩০ হাজার পিস কম্বল এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
জিতু কবীর/জেএস/জিকেএস