ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে দুই যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০৪:৪৬ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

কক্সবাজারে বাস টার্মিনাল এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে এক কিশোরকে মারধর করেন দুই যুবক। এ ঘটনার জেরে ছুরিকাঘাতে তাদের হত্যা করেছেন কিশোরের স্বজনরা।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের পূর্ব লারপাড়া প্রাথমকি বিদ্যালয় এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

নিহতরা হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা পূর্ব লারপাড়া এলাকার আবদুল হামিদ মনু ড্রাইভারের ছেলে কায়সার হামিদ (২৮) ও নুরুল হুদা জুনু ড্রাইভারের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল (৩০)। নিহতরা সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।

আরও পড়ুন: ‘শাসন’ করায় শিক্ষককে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

স্থানীয়রা জানান, ঝিলংজা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের মাঠে রাতে খেলছিল একদল কিশোর। সে সময় কায়সার ও সাইদুল গিয়ে কিশোরদের ব্যাট নিয়ে খেলার চেষ্টা চালান। তখন এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে আতিক নামে এক কিশোর তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করলে কায়সার ও সাইদুল তাকে মারধর করেন। এরপর আতিক বাড়ি গিয়ে বিষয়টি জানালে তার বড় ভাই জয়নাল, কামাল ও চাচাতো ভাই মিজানসহ অন্যরা ধারালো দা, ছুরি নিয়ে বের হন। পথে কায়সার ও সাইদুলকে পেয়ে তাদের উপর হামলা চালান তারা।

একপর্যায়ে দুজনের বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান কায়সার ও সাইদুল।

আরও পড়ুন: ১৬ শিক্ষার্থীকে পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আটক কলেজের অধ্যক্ষ

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশিকুর রহমান বলেন, ছুরিকাহত হওয়া তিনজনকে রাত পৌনে ১২টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই দুজনের মৃত্যু হয়। একজন চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সমাজ নেতা শামশুল আলম শ্রাবণ জানান, অতি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে খুনের মতো ঘটনা এলাকাবাসীকে হতবাক করেছে। কায়সার হামিদ মাত্র ছয়মাস আগে বিয়ে করেছেন। আহাজারি চলছে তার পরিবারে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহগুলো মর্গে রাখা হয়েছে। হামলাকারিদের ধরতে পুরো লারপাড়ায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

সায়ীদ আলমগীর/এমএইচআর