টানা চারদিন ধরে মৌলভীবাজারে তাপমাত্রা ৮-৯ ডিগ্রি
চায়ের রাজ্য মৌলভীবাজারে বয়ে যাচ্ছে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়া। চারদিন ধরে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ৯ ডিগ্রির সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে মৌলভীবাজারের পাহাড়ি এলাকার চা শ্রমিক ও হাওর পারের দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
বুধবার (৪ জানুয়ারি ) ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরেই শ্রীমঙ্গলসহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন স্থানে চলছে শীতের দাপট। প্রচণ্ড শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতের পাশাপাশি বেড়েছে কুয়াশার ঘনত্ব। এ কারণে রাতে সড়কগুলোয় ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন।
এই তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন চা-বাগানের শ্রমিক, হাওড়াঞ্চলের জেলে, কৃষক ও শ্রমজীবীরা। শীত উপেক্ষা করেই খুব সকালে কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও পড়েছেন শীতের কবলে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় বেশিরভাগ সময় হোটেল বা রিসোর্টের কক্ষেই কাটাচ্ছেন পর্যটকরা।
এদিকে জেলার শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। কয়েক দিন ধরে জেলার বিভিন্নস্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
পর্যটন সেবা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শামছুল ইসলাম বলেন, শীতে কাবু পর্যটকরা তেমন বাহিরে যাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, কনকনে শীত উপেক্ষা করে কাজে যেতে হচ্ছে। এছাড়া ঠাণ্ডাজনিত রোগতো লেগেই আছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গলে আজ ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চারদিন ধরে তাপমাত্রা ৮ থেকে ৯ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে। তবে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা একটু কম অনুভূত হচ্ছে।
আব্দুল আজিজ/জেএস/এমএস