ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আইনজীবীদের আদালত বর্জনের পর পাল্টা কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীদের আদালত বর্জনের পর পাল্টা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে গেছেন কর্মচারীরা। বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ, কর্মচারীদের মারধর, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তারা। ফলে আদালতে বিচারিক কাজ বন্ধ আছে।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করছে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
এর আগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে রোববার থেকে যাচ্ছেন না আইনজীবীরা। আইনজীবী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বার অ্যাসোসিয়েশনকে নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্যের অভিযোগ আনা হয় ওই বিচারকের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ওই বিচারকের প্রত্যাহারও দাবি করে আইনজীবী সমিতি।
একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মূলত একটি মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতণ্ডা হয়। সময় পার হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুসারে মামলাটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি।
এ ঘটনায় আদালতে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যেও বিরূপ প্রভাব দেখা দেয়। বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন সভা করে বুধবার থেকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়।
বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী ও সদস্য উজ্জ্বল ইসলাম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের ৩০০ কর্মচারী আজ থেকে একযোগে কর্মবিরতিতে আছি। একটি মামলার ঘটনায় বিচারকের সঙ্গে শুধু নয়, কিছু আইনজীবী কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতিনিয়তই বাজে ব্যবহার করে আসছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, তাদের অভিযোগ গুলো মিথ্যা। মূলত তারা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত নাজির মুমিনকে রক্ষায় এ কর্মসূচি পালন করছে। কারণ মুমিনের অসাধু কার্যকলাপের বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/জেআইএম