দেড় মাসে এক ছটাক ধানও জোটেনি বাগাতিপাড়া খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তরে
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় সরকারিভাবে আমন মৌসুমের ধান সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে। তবে প্রায় দেড় মাসে এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর। এর আগে বোরো মৌসুমেও দপ্তরটি কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি বলে জানা যায়।
মূলত সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে স্থানীয় বাজারের মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরকারি দপ্তরে ধান বিক্রি করছেন না। তবে স্থানীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর বলছে, বাকি সময়ের মধ্যে তারা আমন ধান সংগ্রহ করতে পারবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে তাদের আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৩৭ মেট্রিক টন। প্রতি কেজি ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ টাকা। সংগ্রহ শেষ হবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে এরই মধ্যে অনলাইনে আবেদনের জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ নানা প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা।
কিন্তু স্থানীয় বাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দাম বেশি থাকায় এক মাসের বেশি সময় পার হলেও কোনো কৃষক অনলাইনে আবেদন করেননি। তাই ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর।
এর আগে সরকারিভাবে প্রতিকেজি বোরো ধানের সরকার নির্ধারিত দাম ছিল ২৭ টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৮ মেট্রিক টন। নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট। সেসময়ও কোনো বোরোধান সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, সরকারের বেধে দেওয়া দামের চেয়ে বাজারে বেশি দাম পাচ্ছেন তারা, সেই কারণে উপজেলা খাদ্য গুদামে তারা ধান বিক্রি করছেন না।
পৌর এলাকার কৃষক মাসুম হোসেন বলেন, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম অনেক বেশি। তাই আমরা খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করছি না।
একই এলাকার আরেক কৃষক মোমিন আলী বলেন, দাম যেখানে বেশি পাবো আমরাতো সেখানেই বিক্রি করবো। খাদ্য গুদামের চেয়ে স্থানীয় বাজারে ধানের মূল্য বেশি তাই আমারা স্থানীয় বাজারেই ধান বিক্রি করছি।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ও খাদ্য পরিদর্শক রোকন আলী বলেন, ধানের মূল্য স্থানীয় বাজারে বেশি থাকায় কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তারপরও আমন ধান সংগ্রহের এখনও সময় আছে। চেষ্টা চলছে, বাকি সময়ের মধ্যে ধান সংগ্রহ হবে বলে আশা করছি।
রেজাউল করিম রেজা/এফএ/জেআইএম