ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আবারও জাতীয় পার্টিতেই ফিরলেন মিলন

জেলা প্রতিনিধি | মানিকগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৯:৪২ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

ছাত্রদল দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু গোলাম সারোয়ার মিলনের। এরপর যোগ দেন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। হয়েছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য। জাতীয় পার্টির শাসনামালে হন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে জাতীয় পার্টি ছেড়ে যোগ দেন বিকল্পধারায়। সেখানে মানিকগঞ্জ-২ আসনে বিকল্পধারার প্রার্থী হলেও মহাজোট থেকে মনোনয়ন পাননি। এরপর গত জুলাইয়ে বিকল্পধারা ছাড়ার ঘোষনা দেন।

রাজনৈতিক নানা চড়াই-উৎরাই শেষে আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে জাতীয় পার্টিতেই ফিরলেন গোলাম সারোয়ার মিলন। ঘোষণা দিলেন আমৃত্যু তিনি জাতীয় পার্টিতেই থাকবেন। একই সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নিজ বাসভবনে জাতীয় পার্টিতে যোগদানের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানান গোলাম সারোয়ার।

গোলাম সারোয়ার বলেন, রাজনৈতিক বিভিন্ন কারণে আমি একাধিকবার দল পরিবর্তন করেছি। রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে পরে দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টি থেকে দূরে ছিলাম। গত ৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আমি আবার জাতীয় পার্টিতে যোগাদান করি। জাতীয় পার্টিই আমার শেষ ঠিকানা। আমৃত্যু জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাজনীতি করবো।

এসময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে অংশ নেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাবেক এই সংসদ সদস্য।

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদঘোষিত কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক এসএম গোফরান, ইকবাল হোসেন রাজু, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আজিজ চৌধুরী, গোলজার হোসেন, সাবেক সচিব ও জাতীয় পার্টির নেতা হাবিবুল্লাহ, ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা বইসসের সহ-সভাপতি হাসান রাকিব, সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সিংগাইর পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খোকা প্রমুখ।

গোলাম সারোয়ার মিলন ১৯৮১ থেকে ১৯৮২ মেয়াদে ছাত্রদলের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তিনি এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনের অভিযোগে কারাবরণ করেন। পরে ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনীত হন। এরপর জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

গত সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে বিকল্পধারা যোগ দেন। কিন্তু মহাজোট থেকে তিনি মনোনয়ন পাননি। গত জুলাইয়ে তিনি বিকল্পধারা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সে সময় তিনি উল্লেখ করেন বিকল্পধারা তার সঙ্গে বেইমানি করেছে।

বি.এম খোরশেদ/এসআর/এএসএম