ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহারে বাড়ছে উৎপাদন, কমছে খরচ

রাজীবুল হাসান | উপজেলা প্রতিনিধি, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) | প্রকাশিত: ০৪:১৬ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে খুশি ভৈরবের চাষিরা। চারা রোপণ থেকে শুরু করে ফসল কাটার ক্ষেত্রেও ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রের। পুরোনো ধারণা থেকে বেরিয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারে বদলে যাচ্ছে কৃষকের জীবনমান। ফলে কমে আসছে খরচ, সেইসঙ্গে শ্রমিক সংকট যেমন দূর হচ্ছে তেমনি বাড়ছে ফসলের উৎপাদনও। কৃষিতে আধুনিকায়নে আশাবাদী ভৈরবের কৃষিদপ্তরসহ কৃষকরা।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর ও সাদেকপুর গ্রামের হাওরে আমনের জমিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলছেন কৃষকরা। দিনদিন কৃষিতে বাড়ছে আধুনিক যন্ত্রের ছোঁয়া। কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে চলছে ফসল কাটা। এই হারভেস্টার মেশিন দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৫০ শতাংশ জমির দাম ধান কাটা সম্ভব। ফলে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে অনেক টাকার সাশ্রয় হচ্ছে কৃষকদের। ৫০ শতাংশ জমি ধান কাটতে কৃষকের খরচ পড়ছে পাঁচ হাজার টাকা। প্রতি শতাংশে খরচ পড়ছে প্রায় ১১৯ টাকা। অপরদিকে, শ্রমিক দিয়ে ৫০ শতাংশ জমির ধান কাটতে খরচ পড়তো দ্বিগুণ।

দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার বেশকিছু এলাকায় কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা শুরু হয়েছে। স্থানীয় কৃষক আনোয়ার মিয়া বলেন, এবছর জমির ধান কাটা ও মাড়াই সবই হয়েছে যন্ত্রের মাধ্যমে। আধুনিক এই চাষ পদ্ধতিতে ধান কাটায় সময় যেমন সাশ্রয়ী হয়েছে তেমনি আগের তুলনায় বেড়েছে উৎপাদন। এছাড়া শ্রমিক খরচ কমায় খুশি কৃষকরা।

তিনি আরও বলেন, অন্যবার ধান কাটার সময় জমিতে যে পরিমাণ ধানের অপচয় হতো সেটি এবার রোধ করা গেছে। এখন সহজেই ঝামেলা মুক্তভাবে স্বচ্ছ ধান জমি থেকে সরাসরি ঘরে তুলতে পারছি। কৃষিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কৃষকরা বেশ খুশি।

সাদেকপুর ইউনিয়নের কৃষক লিটন উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটলে সময় অনেক কম লাগে। টাকাও কম খরচ হয়। সনাতন পদ্ধতিতে ১০০ শতাংশ জমির ধান কাটতে ছয় থেকে সাতজন শ্রমিক লাগতো। তারপর আবার শ্রমিক দিয়ে সেই ধান মাড়াই করতেও খরচ লাগতো। কিন্তু এখন তো বাড়তি খরচ ছাড়াই হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান ও কাটা মাড়াই একসঙ্গেই হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এখন শুধু জমি থেকে ধান বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। ধানের খড় নিয়েও চিন্তা নেই। ধান কাটার সঙ্গে জমিতেই মেশিনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে রোদে শুকাতে সুবিধা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, কৃষি প্রণোদনার আওতায় সরকার ভর্তুকি দিয়ে ভৈরবের কৃষকদের মধ্যে হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করেছে। কৃষিকে সহজ, লাভজনক ও আধুনিক করতেই কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, আমন ধান বপন থেকে শুরু করে কাটা এবং মাড়াই সবকিছুই শেষ হচ্ছে যন্ত্রের মাধ্যমে। কৃষিতে আধুনিকায়নের ছোঁয়ায় উৎপাদনও বেড়েছ। অন্যদিকে, সবকিছু মিলিয়ে আধুনিক যন্ত্রের ছোঁয়া কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।

এমআরআর/এএসএম