মাছ আহরণের জন্য লিজ নিয়ে বালু উত্তোলন
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে মাছ আহরণের জন্য লিজ নিয়ে কুদালিয়া নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন লিজগ্রহীতারা। শর্ত ভঙ্গ করে এসব বালু বিক্রিও করছেন তারা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
তবে বালু উত্তোলনের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লিজগ্রহীতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ।
তিনি বলেন, এখনো অনুমতি পাননি। বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজার বসানো হয়েছে। তবে এখনো উত্তোলন করেননি। বালু কী দামে, কোথায় বিক্রি হচ্ছে তাও তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কুদালিয়া নদীটি ছয় বছরের জন্য মাছ আহরণ করতে লিজ দেওয়া হয়। লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের এপ্রিলে। দিঘলবাগ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের অনুকূলে এ লিজ দেওয়া হয়।
শর্ত অনুযায়ী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না। নদী খননের জন্য অনুমতি দিলেও উত্তোলিত মাটি বা বালু বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু লিজগ্রহীতারা শর্ত ভঙ্গ করে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। প্রতি ফুট বালু ৬ থেকে সাড়ে ৬ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। বালু উত্তোলনের বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন নোয়াগড় গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য ও জলসুখা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান মিয়া।
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমরা মাটি উত্তোলন করেছিলাম। এটি নদী ড্রেজিং করার জন্য, বালু বিক্রির জন্য নয়। এখন বন্ধ আছে। আমরা সেগুলো বিক্রিও করি না। তাছাড়া নদী খননের জন্য ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের অনুমতিও নিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা সালেহা সুমী বলেন, নদী খনন করার জন্য তারা অনুমতি নিয়েছেন। কিন্তু এসব বালু বিক্রি করার কথা না। বিষয়টি নিয়ে তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
জলসুখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু বলেন, নদীটি মাছ আহরণের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শাহজাহান মিয়ার তত্ত্বাবধানে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। শুনেছি সেগুলো সাড়ে ৬ টাকা ফুট হিসেবে তারা সড়কের কাজের ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে আমি একাধিকবার কথা বলেছি। বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসআর/এমএস