সাতক্ষীরায় শীতজনিত রোগের প্রকোপ, বেশি আক্রান্ত শিশু
শীতের শুরুতেই সাতক্ষীরায় বাড়ছে শিশুরোগীর সংখ্যা। এদের অধিকাংশ শীতজনিত সর্দি-জর, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত। তাদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক), সদর ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করছেন অভিভাবকরা।
শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। ঠান্ডা থেকে শিশুদের সুরক্ষায় রাখার পরামর্শ তাদের।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে প্রতিদিন দেড়শ শিশুকে আউটডোরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখানে ভর্তি আছে ৪০ শিশু। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে ১০০ শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখানেও ৪০ শিশু ভর্তি আছে।
অন্যদিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে অর্ধশত শিশু। এছাড়া আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে দুই শতাধিক শিশু। অথচ গত সপ্তাহে এ সংখ্যা ছিল অর্ধেকেরও কম।
শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গি এলাকার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলের বয়স তিন বছর। বেশ কয়েকদিন ধরে তার কাশি ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’
শিশুকে নিয়ে সামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আমিনা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়স আড়াই বছর। বুধবার থেকে মেয়েটির জ্বর। প্রথমদিকে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়াচ্ছিলাম। আজকে সকালে তার খিচুনি হচ্ছিল। আর দেরি না করে তাকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করেছি। চিকিৎসকরা বলছেন, সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।’
সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক আবুল বাশার জাগো নিউজকে বলেন, শিশুদের সর্দি-জ্বর এমনিতে কয়েকদিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে অবস্থা গুরুতর হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এছাড়া শিশুর যাতে কোনভাবে শীতে ঠান্ডা না লাগে, সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ পানি ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আল আহমেদ আল মাসুদ জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালে শিশুদের জন্য ৩০টি বেড আছে। সব সময় পরিপূর্ণ থাকছে বেডগুলো। সম্প্রতি অনেক রোগীকে ফ্লোর করতে হচ্ছে। এছাড়া আউটডোরে তো ব্যাপক চাপ। শীতকালে ধুলাবালির প্রকোপ বাড়ায় শিশুরা সহজেই শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু শিশুরা নয়, বয়স্ক ব্যক্তিরাও অধিক হারে আক্রান্ত হচ্ছে।
আহসানুর রহমান রাজীব/এসজে/এমএস