ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

৩০ বছর ধরে পতাকা বানান তুষার পাল

জেলা প্রতিনিধি | রাঙ্গামাটি | প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২২

প্রতি চার বছন পর পর অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপ ফুটবল। প্রতিবারই এই ফুটবল আসরের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বে। এবারও এই আমেজ থেকে পিছিয়ে নেয় পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিও। বিক্রি বেড়েছে পতাকার। কারিগরদেরও ব্যস্ততা বেড়েছে। পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে গত ৩০ বছর ধরে পতাকা তৈরি করে আসছেন তুষার পাল (৬০)।

রাঙ্গামাটি শহরের বনরুপায় একটি টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী তুষার পাল। বয়স ৬০-এর কাছাকাছি। এখনো নিজের হাতেই তৈরি করছেন বিভিন্ন দেশের পতাকা। তার তৈরি পতাকাই শোভা পাচ্ছে রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন অলিতে গলিতে।

তিন পুত্র সন্তানের জনক তুষার পাল পতাকা তৈরি করেই সংসার চালান। এ পেশায় থেকে তিন ছেলেকেই পড়াশোনা করিয়েছেন। বড় ছেলে রানা পাল বর্তমানে লেখাপড়ার গণ্ডি পেরিয়ে গাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মেজ ছেলে মান্না পাল রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজে বিবিএতে অধ্যয়নরত। ছোট ছেলে মুন্না পাল এ বছর এসএসসি দিয়েছে।

৩০ বছর ধরে পতাকা বানান তুষার পাল

বাবার কাজে সহযোগিতা করেন সবই ছেলেই। মেজ ছেলে মান্না পাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাবা দীর্ঘদিন ধরে পতাকা তৈরি করে আসছেন। যখন পতাকার অর্ডার বেশি হয় তখন আমরাও আমাদের সুযোগমতো বাবাকে সহযোগিতা করি।’

পতাকা কারিগর তুষার পাল বলেন, ‘৩০ বছর ধরে পতাকা তৈরি করে আসছি। আমি সাধারণত জাতীয় পতাকা তৈরি করে থাকি। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও অফিসের জন্য তৈরি করি জাতীয় পতাকা। দেশের যেন দুর্নাম না হয়, সম্মান থাকে সেজন্য নিজ হাতে সুন্দর করে পতাকা তৈরি করে আসছি।’

৩০ বছর ধরে পতাকা বানান তুষার পাল

বিশ্বকাপ ফুটবল দলের পতাকা তৈরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চার বছর পর পর বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। ছেলেদের আনন্দ দেওয়ার জন্য এই পতাকা তৈরি করি।

৩০ বছর ধরে পতাকা বানান তুষার পাল

এক প্রশ্নের জবাবে তুষার পাল বলেন, আর্জেটিনা ও ব্রাজিলের পতাকার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আমি চেষ্টা করি যেন সব পতাকাই সুন্দর হয়।

সাইফুল উদ্দীন/এসআর/জেআইএম