ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সাপ্তাহিক হাটে ফল বেচে সংসার চলে তাদের

মাহাবুর রহমান | প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০২২

সড়কের ধার ঘেঁষে ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন সাতজন। মাটির ওপর পলিথিন বিছিয়ে সাজানো আছে ড্রাগন, মাল্টা, আপেল, কমলা, পেয়ারা ও আনার। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের এসব ফল কিনতে ভিড় করছেন হাটে আসা ব্যক্তিরা।

দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের রানীগঞ্জ বাজারে সাপ্তাহিক হাটে এভাবেই রাস্তার ধারে ফল নিয়ে বসেন জয়পুরহাটের সাত বাসিন্দা। শুধু এ হাট নয় বিভিন্ন জেলার সাপ্তাহিক হাট বসলেই ফল নিয়ে চলে যান তারা। ফল বিক্রির টাকায় সংসার চলে তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রানীগঞ্জ বাজারটি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় অবস্থিত। প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার এখানে হাট লাগে। এ সময় রাস্তার ধারে ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকান নিয়ে বসে কয়েকজন বিক্রেতা।

সোমবার হাটবারে গিয়ে দেখা যায়, এসব দোকানে ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪০০ টাকা কেজি। মাল্টা ৮০ টাকা, আপেল ১৬০ টাকা, কমলা জাতভেদে ৮০/১৬০/২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেয়ারা ৫০ টাকা এবং আনার ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

শাক-সবজি কিনে বাড়ি ফিরছিলেন রহিম মোল্লা (৬৭)। পথে বসা ফলের দোকানে ৫০০ গ্রাম ড্রাগন ফল কিনতে দেখা যায় তাকে। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এ ফল আমরা দেখিনি। নতুন নাকি বের হয়েছে। তাই নাতির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছি। গত সপ্তাহে এ দোকান থেকে মাল্টা কিনে নিয়ে গেছি। বেশ সুস্বাদু ছিল।’

পাশের আরেকটি দোকানে আনার ফল কিনছিলেন হাবিবুর রহমান নামের এক যুবক। তিনি বলেন, ‘আনার শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করে। আমার মা অসুস্থ। তাই মায়ের জন্য দুই কেজি আনার নিয়ে যাচ্ছি। স্থানীয় দোকানের চেয়ে এখানে কিছুটা কম দামে ফল কিনতে পাওয়া যায়। মানও বেশ ভালো।’

কথা হয় ফলের দোকানদার ইসাহাক মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এক যুগ থেকে হারা এল্লা ফলের দোকান করে সংসার চালাওছি। একেকদিন একেক জেলাত যাই। হাটের দিন করে হামরা দোকান দেই। ফল বেচে হামার প্রতিদিন আয় ১ হাজার থেকে ১৫০০ টেকা। হামরা নিজেরাই পাইকারি মাল কিনি। তাই ক্রেতাহেরে কাছে ৫-১০ টাকা কম দামে ফল বেচবার পাই।’

এসজে/জেআইএম