ঘোড়াঘাট ইউএনওকে হত্যাচেষ্টা: রবিউলের ১০ বছর কারাদণ্ড
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় আসামি রবিউল ইসলামকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩ আদালতের বিচারক সাদিয়া সুলতানা এ রায় দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রবিউল বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দিনের ছেলে। তিনি ঘোড়াঘাটের ইউএনও বাসভবনের সাবেক কর্মচারী ছিলেন।
দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সব সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আসামি রবিউলকে ৩০৭ ধারায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩২৫ ধারায় ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে আরও তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম থেকে মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। শেষের দিকে মামলাটি দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে হস্তান্তর করা হয়। সেখানেই গত ২৬ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মামলায় ৫৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলায় একমাত্র আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের বরখাস্তকৃত মালি রবিউল ইসলাম উচ্চতর আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। তবে তার উপস্থিতিতে আদালতে বিচার সব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত ২টার দিকে সরকারি ডাকবাংলাতে ঘোড়াঘাট ইউএনওর ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুর ১টায় হেলিকপ্টার যোগে জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
এমদাদুল হক মিলন/জেএস/জেআইএম