ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাজশাহীতে অসময়ে পদ্মায় ভাঙন, গৃহহারা ৩১ পরিবার

জেলা প্রতিনিধি | রাজশাহী | প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২২

রাজশাহীর বাঘায় আবারও অসময়ে পদ্মার ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে এক সপ্তাহের ব্যবধানে গৃহহারা হয়েছেন ৩১ পরিবার। এসময় প্রায় দুইশত বিঘা ফসলের জমি পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া পল্লী বিদ্যুতের ২১টি খুঁটি উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার কালিদাসখালী চরে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানান, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মার ধারে বসবাস করছে। যেকোনো সময়ে এদের বাড়ি পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এরই মধ্যে অন্যত্রে সরে গেছেন অনেকেই। তবে এখন পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন ৪৫টি পরিবার।

উপজেলার কালিদাসখালী পদ্মা নদীর ধারে বসবাস করা রবিউল ইসলাম বলেন, আমার ৩০ বিঘা জমি পদ্মার গ্রাস করেছে। বর্তমানে বাড়ি করার মতো জমি নেই। সাত কাঠা জমি বছরে ৫ হাজার ২০০ টাকায় ভাড়া নিয়ে ঘর করে বসবাস করছি। এবার সেই বাড়িও ভাঙনের মুখে পড়েছে। অন্য কোথাও জমি ভাড়া পাচ্ছিনা। আমার পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে নিরুপায় হয়ে পড়েছি।

একই এলাকার কামরুল ইসলাম জানান, এক সপ্তাহ আগে পদ্মার চরে তার এক বিঘা জমিতে কপি ও টমেটো ছিল। সেই ফসল পানি বৃদ্ধির কারণে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।

তার মত আশরাফপুর গ্রামের জারমান আলীর ১০ বিঘা, মোজাম্মেল হকের ৩ বিঘা, আব্দুল মান্নানের ৫ বিঘা, আসাদুল সরকারের ৮ বিঘা, বাবলু প্রামাণিকের ৫ বিঘা জমির রোপণ করা পেঁয়াজ খেত ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।

Rajshahi-(2)

উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চরকালিদাখালী চরের ইউপি সদস্য (মেম্বার) শহিদুল ইসলাম বলেন, এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা এক হাজার ২৬২ জন। পরিবার ছিল চার শতাধিক। এরই মধ্যে নদী ভাঙনের কারণে দুই শতাধিক পরিবার নানা জায়গায় চলে গেছে।

উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডিএম মনোয়ার হোসেন বাবলু দেওয়ান বলেন, অসময়ে নদী ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, অসময়ে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া অনেকেই বাড়ি-ঘর ভেঙে নিয়ে চলে গেছেন। তবে এরই মধ্যে পানি নেমে যাচ্ছে। এটা একটা স্বস্তির দিক।

বাঘা পল্লী বিদ্যুৎ সাবজোন অফিসের ডিজিএম সুধির কুমার বলেন, এক সপ্তাহে ২১টি বিদ্যুতের খুঁটি উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে যারা অন্যস্থানে বাড়ি করছে, তাদের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, অসময়ে পদ্মার ভাঙনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

জেএস/এমএস