ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বরিশালে ৩ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশাল জেলায় তিন হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে টানা বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারের ফলে পানিতে তলিয়ে চার হাজার ৪৪৯ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া এ জেলায় আট হাজার ৯৩টি মাছের ঘের, দিঘী ও পুকুর পানিতে তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। এতে ছয় হাজার ৮৩৬ জন মৎস্যচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছে ছয়টি গরুসহ এক হাজার ৪১৮ টি হাঁস-মুরগি। গাছপালা উপড়ে পড়েছে শতশত।
বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঝোড়ো হাওয়ায় দুই হাজার ৫০৮টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৬৩৩টি ঘরবাড়ি। তাছাড়া পানিতে তলিয়ে আট হাজার ৯৩টি ঘের, দিঘী ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। টানা বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়া এবং জোয়ারের পানিতে চার হাজার ৪৪৯ হেক্টর জমির আমন, সবজি ক্ষেত ও পানের বরজসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে এসব তথ্য জানা গেছে। তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পেতে একটু সময় লাগবে। সব উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তারা পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানাবেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় আগে থেকেই সব ধরনের সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছিল। এ কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে জেলার ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। যেখানে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৯০ মানুষ আশ্রয়ের ব্যবস্থা ছিল। ৩৭ হাজার ৮৭৬ জন মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবার ও শিশুখাদ্য, সুপেয় পানি ও পরিচ্ছন্ন বাথরুমের ব্যবস্থা ছিল। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ পাঁচ লাখ টাকা, ১২৫ টন চাল, এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং ৮০০ কার্টন ড্রাইকেক ও বিস্কুট বিতরণ করা হয়েছে।
সাইফ আমীন/এমআরআর/জিকেএস