নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে চেয়ার ছোড়াছুড়ি
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলা ও মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জেলার মোহনগঞ্জ ও বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খালিয়াজুরী কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে খালিয়াজুরী কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা কমিটির সভাপতি মতিয়র রহমান খান। প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সমাাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, কেন্দ্রীয় নেতা শফি আহমেদ ও সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাবেক চেয়ারম্যান অজিত বরণ সরকারকে সভাপতি ও সাদেকুর রহমান সাদেককে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটি ঘোষণার পরপরই ‘এই কমিটি মানি না’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন বঞ্চিতরা। তারা মঞ্চ ও প্যান্ডেলের চেয়ার ভাঙচুর করেন।
এ সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানসহ কয়েকজন নেতার দিকে তেড়ে যান। পরে পুলিশ তাদের মাঠসংলগ্ন ডাকবাংলোয় নিয়ে যায়। তখন নেতাকর্মীরা ডাকবাংলো ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে তারা পুলিশ পাহারায় খালিয়াজুরী ত্যাগ করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কমিটি ঘোষণা করায় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন।’
জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, জেলার নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ না করে কেন্দ্রীয় নেতারা কমিটি ঘোষণা করেছেন। এ কারণে যোগ্য ও ত্যাগী নেতারা বাদ পড়ায় সাধারণ কর্মীরা বিষয়টি মেনে নেননি।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) জেলার মোহনগঞ্জ ও শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
এইচ এম কামাল/এসআর/এএসএম