পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে ‘দিগলিবাগ’
নতুন উদ্যোক্তাদের হাত ধরে বদলে যেতে শুরু করেছে রাঙ্গামাটির পর্যটন শিল্প। পর্যটকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রকৃতির মাঝে গড়ে উঠছে বিভিন্ন রিসোর্ট। ইট-পাথর আর যান্ত্রিক কোলাহল মুক্ত মনোরম পরিবেশে এসব রিসোর্ট আকৃষ্ট করছে ভ্রমণপ্রেমিদের।
রাঙ্গামাটি শহর থেকে ৪৫ মিনিটের পথ দিগলিবাগ এলাকার। কাপ্তাই হ্রদের তীরে নির্জন দিগলিবাগের এ এলাকায় মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে পর্যটকদের থাকার জন্য রিসোর্ট। এলাকার নাম অনুসারে রিসোর্টটির নাম রাখা হয়েছে ‘দিগলিবাগ’। এখানে রয়েছে দুটি কটেজ ও একটি ডরমেটরি। যেখানে বারান্দায় বসে উপভোগ করা যায় সবুজ পাহাড়, নীল আকাশ আর শান্ত হ্রদের স্বচ্ছ জল।
কটেজগুলো তৈরিতে রয়েছে স্থানীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া। ইট-পাথর পরিহার করে স্থানীয় উপকরণ দিয়ে জুম ঘরের আদলে উঠেছে স্থাপনাগুলো। আসবাবপত্রেও রয়েছে শৈল্পিকতার ছোঁয়া। স্থানীয় বনের বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র মন কাড়ছে পর্যটকদের। রয়েছে সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা। এ রিসোর্টের কটেজ ভাড়া তিন হাজার টাকা। এখানে রয়েছে ২০ জনের আবাসন ব্যবস্থা।
তাছাড়া এখানে রয়েছে ফিশিং পয়েন্ট, যেখানে পর্যটকরা চাইলে মাছ ধরে তা দিয়ে বার্বিকিউ পার্টি করতে পারবে। সঙ্গে হ্রদের জলে স্নান আর কায়াকিংতো আছেই। রিসোর্টে মিলবে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী খাবারের পাশাপাশি বাংলা ও চাইনিজ খাবার।
সেখানে ঘুরতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রভাষক লতিফা ইয়াসমিন সোমা জানান, সপ্তাহের প্রতিদিন অফিস করছি এরমধ্যে দুই একটা দিন অবসরের সুযোগ পাচ্ছি। এ সময়টুকু কাটানোর জন্য এটাই উপযুক্ত জায়গা।
সৈয়দ ইব্রাহিম নামের আরেক পর্যটক বলেন, যান্ত্রিক শহরে থাকতে থাকতে আমরা খুব ক্লান্ত। এসব যান্ত্রিকতা দূর করতে এখানে আসা। নিরিবিলি পরিবেশ খুব ভালো লাগছে।
দিগলিবাগ রিসোর্টের ব্যবস্থাপক হিমু বাপ্পি বলেন, এখন পর্যটকরা নিরিবিলি পরিবেশ থাকতে পারবেন। আমরা বেশ সাড়া পাচ্ছি। চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। রিসোর্টের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে।
আরএইচ/এমএস