ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মুছে গেল ‘রেখা’

প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৪

হাতে মেহেদি মেখে, লাল বেনারশি জড়িয়ে ১৭দিন আগে স্বামীর ঘরে গিয়েছিলেন রেখা খাতুন (২০)। কিন্তু মেহেদির রং মুছতে না মুছতেই মুছে গেছেন নববধূ রেখা।

যৌতুকের দাবিতে শনিবার রাতে তাকে ‘হত্যা’ করে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করছে স্বামী গৃহের লোকজন অভিযোগ রেখার পরিবারের।

রেখা যশোরের মণিরামপুর উপজেলার জলকা রোহিতা গ্রামের সালাম খাঁ’র মেয়ে ও যশোর শহরের খড়কি এলাকার মনা মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলামের স্ত্রী।

এদিকে, রেখাকে মারপিট করে হত্যার করার অভিযোগ করায় রাতেই যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চত্ত্বরে তার বাবা ও স্বজনদের ওপর হামলা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই হেমায়েত রেখার প্রতিবেশি চাচা শ্বশুর শহরের খড়কি এলাকার মনোয়ার ও মঞ্জুরুল ইসলামকে আটক করেছে।

রেখার চাচা ইস্রাফিল হোসেন বলেন, ১৭ দিন আগে রেখা ও জহিরুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুক না পেয়ে রেখাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিয়ের চারদিন পর জামাই জহিরুল ইসলাম এক লাখ টাকা ও বিভিন্ন ফার্নিচার দাবি করে। কিন্তু রেখার বাবা সালাম খাঁ দাবি রাখতে না পারায় বেজায় ক্ষিপ্ত হয় জামাই। এরপর রেখা শ্বশুর বাড়িতে গেলে তার ওপর অত্যাচার শুরু হয়। এক পর্যায়ে শনিবার তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি জানান।

ইস্রাফিল হোসেন আরও বলেন, শনিবার রাতে রেখা বিষপান করেছে বলে তাদেরকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রেখা মারা যান। তার শরীরে কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হক জানান, রেখার পিতা ও স্বজনদের অভিযোগ তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলছে, রেখা আত্মহত্যা করেছে। ফলে লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়টি পরিস্কার করা যাচ্ছে না।

রেখার বাবা সালাম খাঁ বলেন, জামাই জহিরুল রেখাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। তিনি আর বলেন, রেখা আত্মহত্যা করেনি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন।