বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা, গাছে বেঁধে বেধড়ক মারপিটে ‘খুনি’রও মৃত্যু
নওগাঁর পত্নীতলায় ফয়জুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির কুড়ালের কোপে আছির উদ্দিন (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। পরে ফয়জুলকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করেন এলাকার লোকজন। এতে তিনিও মারা গেছেন।
রোববার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের নালাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আছির উদ্দিন নালাপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে। আর ফয়জুল ইসলাম কৃষ্টরামপুর গ্রামের গণি মণ্ডলের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফয়জুল ইসলাম কয়েকবছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। কয়েকদিন পরপর অসুস্থ পড়েন। এসময়ে হাতের কাছে যা পেতেন, তা দিয়ে নিজের পরিবারের এবং গ্রামের লোকজনকে মরধর করতেন।
পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে পত্নীতলা থানার ওসি (তদন্ত) অর্পণ কুমার জানান, শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে এলাকার এক নাইটগার্ডকে মারধর করেন ফয়জুল। এজন্য তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে আটকে রেখেছিলেন।
তিনি আরও জানান, রোববার বিকেলের দিকে ফয়জুল কোনোভাবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। তার হাতে কুড়াল ছিল। প্রথমে তার ভাতিজা সাব্বির সামনে পড়েন। তাকে কুড়াল দিয়ে কোপ দেওয়ার চেষ্টা করেন ফয়জুল। না পেরে কুড়াল হাতে পাশের নালাপুরের দিকে চলে যান। সেখানে একটি খালের পাড়ে আছির উদ্দিন মাছ ধরছিলেন। হঠাৎ তাকে কোপাতে থাকেন ফয়জুল।
ওসি (তদন্ত) অর্পণ কুমার বলেন, ‘আছির উদ্দিনের মাথা ও ঘাড়ে কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রাখেন ফয়জুল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এদিকে, ঘটনার পর স্থানীয়রা ফয়জুলকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। এর কিছুক্ষণ পরই ফয়জুলের মৃত্যু হয় বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
আব্বাস আলী/এএএইচ