ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

তারুণ্যের ছোঁয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের পর্যটনশিল্প

সাইফুল উদ্দীন | রাঙ্গামাটি | প্রকাশিত: ০৫:৫৩ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি পর্যটকদের কাছে খুবই পছন্দের জায়গা। কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশি, সবুজে ঘেরা সুউচ্চ পাহাড় এবং পাহাড়ের সঙ্গে মেঘের লুকোচুরি খেলা আর অসংখ্যা ঝরণা দেখেতে বছরজুড়েই পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে রাঙ্গামাটি। পাহাড়ের এই পর্যটন শিল্প এখন তারুণ্যের ছোঁয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে।

তরুণ উদ্যক্তাদের মেধা ও ইচ্ছে শক্তি পর্যটন শিল্পকে দেশ ও দেশের বাইরে রাঙ্গামাটিকে নতুন রূপে পরিচিত করে তুলছে। তরুণ নানান উদ্যোগ পর্যটকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে পর্যটন শিল্পের দুর্দিন শেষে তরুণদের ছোঁয়ায় নতুন ভোরের আলো দেখতে শুরু করেছে এ শিল্প।

হিল ট্যুরিজম সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী গালিব হাসান জানান, হাউজ বোর্ট, রিসোট এবং ট্যুরিস্ট গাইড সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বের যেসব পর্যটকরা আসছেন তাদেরকে রূপের রাণীখ্যাত রাঙ্গামাটিকে আরও সুন্দর করে উপস্থাপনের সুযোগ হচ্ছে। বর্তমানে ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ করতে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বেশ কিছু শিক্ষার্থী কাজ করছে।
সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত রাঙ্গামাটির স্বপ্নবুননের প্রতিষ্ঠাতা মুন্না তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, রাঙ্গামটিতে তরুণদের কাজের ক্ষেত্র ছিলো খুবই স্বল্প। এখানে কাজ করার মত তরুণদের তেমন সুযোগ ছিলো না। চাকরিতে না ঝুঁকে তরুণরা এখন উদ্যোক্তা হচ্ছে। হাউজ বোট, রিসোট এসব তৈরি করছে-যা খুবই ভালো। এ কাজের মধ্য দিয়ে তরুণদের যেমন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে ঠিক তেমনি পর্যটন শিল্পও এগিয়ে যাচ্ছে।

গরবা’র স্বত্বাধিকারী বাদশা ফয়সাল বলেন, তরুণদের অনেকে পযর্টন ক্ষেত্রে কাজ করতে এগিয়ে এসেছে। অনেকে ট্যুর গাইডিং, পর্যটন স্পটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। কেউ ইকো রিসোর্ট করছে, কেউ হাউজ বোট করছে সব কিছুই পর্যটকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য এবং পর্যটন সেক্টরকে এগিতে নিতে। এসবের মধ্যে দিয়ে তরুণ সমাজের অনেকেই দেখা যাচ্ছে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী।

নীলাঞ্জনা বোর্ট ক্লাবের স্বত্বাধিকারী দীপাঞ্জন দেওয়ান জাগো নিউজকে বলেন, ট্যুরিজম সেক্টরে উন্নতি মানে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি। আমরা রাঙ্গামাটিকে যেনো বিশ্বের কাছে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারি সে উদ্যেশে কাজ করছি। নীলাঞ্জনা হাউজ বোট ক্লাব মূলত আমাদের প্রমোদিনী হাউজ বোটগুলো রাাতে যেনো এখানে থাকতে পারে এবং এখানে পর্যটনরা খাওয়া-দাওয়া করেতে পারে সে জন্য। আমরা টার্গেট করেছি এবছর অন্তত ১২টি কটেস করবো। সবগুলো ওয়াটার বাংলো হবে, কাপ্তাই হ্রদের উপরে। এগুলো ভিন্ন রকম কটেস যা দেশে আগে হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এখন অনেক তরুণরা এ শিল্পে ঝুঁকছে যা খুব ভালো দিক। আমরা এটিকে ভালো হিসেবে দেখছি।

এএইচ/এএসএম