ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নকলার চরাঞ্চলে মাশকলাইয়ের বাম্পার ফলন

জেলা প্রতিনিধি | শেরপুর | প্রকাশিত: ০৬:৫০ এএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শেরপুরে এবার মাশকলাইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। নকলার চরাঞ্চলের কৃষকরা এবার বারি মাশকলাই-৩ জাতের আবাদ করে একর প্রতি প্রায় ৯ মণ করে ফলন পেয়েছেন।

প্রচলিত দেশি জাতের চাইতে বারি মাশকলাই ফলনে বেশি, দানা পুষ্ট-বড় এবং পুষ্টিমানও অনেক বেশি। একর প্রতি মাত্র দুই-আড়াই হাজার টাকা খরচ করে যে ফলন পেয়েছেন তা বিক্রি করে ২৪/২৫ হাজার টাকা করে আয় করতে পেরে কৃষকরা দারুণ খুশী। নকলা উপজেলার রেহাই অস্টধর চরভাবনা এলাকায় বারি মাশকলাই-৩ জাত আবাদের ওপর এক প্রদর্শনী মাঠ দিবসে কৃষকরা তাদের এমন উচ্ছ্বাসের কথা জানান।

কৃষক হযরত আলী বলেন, আমি এবার ৫০ শতক জমিতে বারি মাশকলাই-৩ জাত আবাদ করে সাড়ে ৪ মণ ফলন পেয়েছি। গতবার এই জমিতে স্থানীয় সাধু হাটি জাতের আবাদ করে পেয়েছিলাম ৩ মণের মতো। আমার এবার আবাদে খরচ হয়েছে মাত্র এক হাজার টাকা। আর আমি উৎপাদিত মাশকলাই বিক্রি করে পেয়েছি ১২ হাজার টাকা।

নকলা উপজেলা কৃষি অফিসের হিসাব মতে, এবার এ উপজেলায় প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে মাশকলাই আবাদ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর জানান, মুনাফা কম পওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকাগুলোতে সরিষা চাষ কমিয়ে কৃষকরা মাশকলাই চাষে ঝুঁকছেন। তিনি জানান, আগে যে পরিমাণ ডাল আমদানি করা হতো এ বছর থেকে তা অনেকাংশে কমে যাবে। কয়েক বছর ধরে ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে মাশকলাই চাষ কৃষকদের মনে নতুন করে আশা জাগিয়েছে। আমরাও কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল উন্নত জাতের মাশকলাই চাষে নানাভাবে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহায়তা করে যাচ্ছি।

চাষি পর্যায়ে ডাল-তেল-পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার নকলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস আয়োজিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলতাপ হোসেনের সঞ্চালনায় এবং কৃষক আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াদুদ, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, প্রদর্শনী প্লটের চাষি মো. হযরত আলী প্রমুখ। স্থানীয় কৃষক আতাউর রহমানের বাড়ির আঙিনায় মাঠ দিবসে শতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।

হাকিম বাবুল/এফএ/এসএস/এসএম