ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হাজারো দর্শনার্থীর ভিড়ে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ০৯:১৬ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

 

বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশালসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অর্ধশত নৌকা অংশ নেয়।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের জনবিচ্ছিন্ন কমলাপুর বিলে অনুষ্ঠিত এ নৌকাবাইচ দেখতে ডিঙি নৌকা, ট্রলারযোগে এবং দুপাড়ে হাজারো দর্শনার্থী ভিড় করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচের আয়োজন করে স্থানীয় ছাত্রলীগ। দুপুরের পর থেকেই নৌকাবাইচ দেখতে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ আসতে শুরু করে কমলাপুর বিলে। বিলের দুপাড়ে বসে অস্থায়ী মেলা। বিকেল ৪টার দিক নৌকাবাইচ শুরু হয়।

Madaripur-(1)

প্রতিযোগিতায় বিশ্বজিৎ বাগচির নৌকা প্রথম স্থান অধিকার করে। সন্ধ্যায় মন্দির মাঠে বিজয়ীদের মধ্যে টেলিভিশন বিতরণ করা হয়।

বাইচ দেখতে আসা সুমি বিশ্বাস বলেন, ‘এ বাইচ আমাদের এলাকার ঐতিহ্য। প্রতিবছর এখানে বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। মা বাবাসহ আমরা সবাই এ প্রতিযোগিতা দেখতে এসেছি। অনেক আনন্দ লাগছে। তবে এলাকার রাস্তা অনেক ভাঙা। তাই আসা-যাওয়ায় অনেক কষ্ট হয়। রাস্তাটি মেরামত করার দাবি জানাচ্ছি।’

Madaripur-(1)

আরেক দর্শনার্থী নিলিমা মন্ডল বলেন, ‘বাইচ শুরু হওয়ার অনেক আগেই আমরা ডিঙি নৌকা নিয়ে এসেছি। বিলের তীরে মেলায় ঘুরেছি। মিষ্টি, চানাচুর ভাজাসহ বিভিন্ন খাবার খেয়েছি। নৌকাবাইচও দেখেছি।’

বাইচে অংশ নেওয়া অনাদী বাড়ৈ বলেন, ‘আমি ১২ বছর ধরে বাইচের নৌকায় আছি। এর আগে আমার বাবা, কাকা বাইচে অংশ নিতেন। তার আগে আমার দাদা বাইচের নৌকা নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অংশ নিতেন। এখানের আয়োজন খুব ভালো লেগেছে।’

Madaripur-(1)

আয়োজক কমিটির সদস্য বাজিতপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি পঙ্কজ মন্ডল বলেন, ‘নৌকাবাইচ আমাদের এলাকার ঐতিহ্য। প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পূজার দিন এ বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হালিম ফকিরের পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা বাইচের আয়োজন করেছি।’

আয়োজক কমিটির সদস্য বাজিতপুর ইউনিয়নের সদস্য সমীর বাড়ৈ বলেন, সবার সহযোগিতায় খুব সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ সমাপ্ত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাইচের নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। নারী, পুরুষ, শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ এসেছে বাইচ দেখতে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে বিভিন্ন সাইজের টেলিভিশন দেওয়া হয়েছে।

একে এম নাসিরুল হক/এসজে/এমএস