ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গাইবান্ধায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বাবাকে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি | গাইবান্ধা | প্রকাশিত: ০৬:১৭ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার সেকেন্দার আলী বাদশাকে নিজ ছেলেসহ চারজন মিলে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সাদুল্যাপুরের বৈষ্ণবদাশ এলাকা থেকে আসামি জামাত আলীকে (৬৩) গ্রেফতার করে পিবিআই। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য দেন তিনি।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পিবিআই গাইবান্ধার পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ।

আদালতে জামাত আলীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, জামাত আলী, মামলার বাদী সেকেন্দার আলী বাদশার ছেলে জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল মোন্নাফ ও আব্দুল আজিজসহ চারজন মিলে ২০১৮ সালের ৩ মে সকালে সেকেন্দার আলী বাদশাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাহিদুলের বাবা বাদশা বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে একা বসেছিল। সেসময় ওই চারজন সেখানে যায়। আসামি মোন্নাফ গেঞ্জি দিয়ে ভুক্তভোগীর গলা পেঁচিয়ে মুখ চেপে ধরে এবং বাকি আসামিরা তাকে তুলে সেখান থেকে ইউনুছ আলীর বাঁশঝাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট নাক-মুখ চেপে ধরায় বাদশা হাত-পা নড়াচড়া বন্ধ করে। তার মৃত্যু হয়েছে ভেবে আসামিরা বাঁশঝাড়ের ভেতর একটি নালায় ফেলে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

jagonews24

পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, পরদিন বিকেলে জামাত আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদশাকে জীবিত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে জামাত আলীসহ এলাকার লোকজন বাদশাকে বাড়িতে নিয়ে গলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। পরে ২০১৮ সালের ২০ জুন বাবাকে হত্যার অভিযোগ এনে আইয়ূব আলী (৩২), রানু মিয়া (৩০), ইউনুস আলী (৩৫), মাহাবুর রহমান (৫৫), রফিকুল ইসলামসহ (৩০) পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে বাদশার ছেলে জাহিদুল বাদী হয়ে সাদুল্লাপুর থানায় হত্যা মামলা করে। মামলায় সে উল্লেখ করে, তার বাবার সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আসামিরা তাকে খুন করে।

পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ বলেন, পুলিশ ও সিআইডির তত্বাবধানে মামলার সুরাহা না হওয়ায় ২০২২ সালের ৯ জুন দায়িত্ব পায় পিবিআই। মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে গত ৩ সেপ্টেম্বর সাদুল্যাপুরের বৈষ্ণবদাশ এলাকা থেকে আসামি জামাত আলীকে গ্রেফতার করে পিবিআই। তাকে ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে তোলা হলে সে বাদশাকে হত্যার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

এমআরআর/জিকেএস