ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফেনীতে সমাজসেবা কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, থানায় অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি | ফেনী | প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফেনীর পরশুরামে কয়েকদিন ধরে একটি প্রতারক চক্র সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভাতাভোগীদের ফোন করে তাদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গোপন পিন নম্বর চাচ্ছে। তাদের বিশ্বাস করে অনেক ভাতাভোগী গোপন পিন নম্বর দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

গত ১৫ দিনে উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক ভাগাভোগীর টাকা এভাবে তুলে নিয়েছে প্রতারক চক্র। বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভাতাভোগীরা ছয় মাস পর পর নিজেদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভাতার টাকা পাচ্ছেন।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভাতাভোগীরা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে বিষয়টি জানালে সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) পরশুরাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বিভিন্ন মসজিদ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ভাতাভোগীদের সচেতন করতে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।

পরশুরাম উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ভাতাভোগীদের মোবাইল নম্বরে ফোন করে তাদের গোপন পিন নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইছে একটি প্রতারক চক্র। গত কয়েকদিনে অর্ধশতজনের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

সমাজসেবা কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রমে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা, দুস্থ মহিলা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভাতা, উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধী শিক্ষা বৃত্তির ভাতা সুবিধাভোগীদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়। তিনটি ভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে সমাজসেবা অফিসার পরিচয় দিয়ে তাদের কাছে অ্যাকাউন্টের গোপন পিন নম্বর, ব্যালেন্স, আইডি কার্ডের নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে। এতে হতদরিদ্র সহজ-সরল ভাতাভোগীরা প্রতারক চক্রের কথা বিশ্বাস করে সব তথ্য দিয়ে দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এমআরআর/জিকেএস