অপমানে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা, শিক্ষককে আসামি করে মামলা
নরসিংদীর শিবপুরে স্কুলছাত্রী প্রভার আত্মহত্যার ঘটনায় বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক নার্গিস সুলতানা কনিকাকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে প্রভার করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) সূত্র ধরে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শিবপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ড্রেসকোড না মানায় শিক্ষক তিরস্কার ও বেত্রাঘাত করায় অপমানে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) আত্মহত্যা করে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রতিদিনের মতো স্কুলে আসে প্রভা। সাদা সালোয়ার কামিজ পরলেও সাদা পায়জামার বদলে গ্রে রঙের গেঞ্জির টাইস পরে স্কুলে আসে সে। বিষয়টি স্কুলের শিক্ষক নার্গিস সুলতানা কনিকার চোখে পড়ে। ড্রেসকোড না মানায তিনি ওই স্কুলছাত্রীকে তিরস্কার ও কয়েকটি বেত্রাঘাত করেন। এরপর ক্ষোভে ও অভিমানে স্কুল থেকে বের হয়ে ইঁদুর মারার বিষ কিনে পান করে প্রভা।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সে শিবপুর থানায় যায়। সেখানে গিয়ে থানায় কর্মরত ডিউটি অফিসারের কাছে স্কুলশিক্ষক নার্গিস সুলতানা কনিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। সে জানায়, ওই শিক্ষক সবসময় কারণে-অকারণে তাকে তিরস্কার এবং শিক্ষার্থীদের সামনে অপমান করেন। তাই সে বিষ পানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তার মৃত্যুর জন্য ওই শিক্ষক দায়ী। এর পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রভা।
পরে থানা পুলিশ দ্রুত স্কুলের প্রধান শিক্ষককে খবর দেয় এবং তাকে শিবপুর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রভাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক নার্গিস সুলতানা কনিকা গা ঢাকা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, স্কুলছাত্রী প্রভা আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। যেহেতু সে মৃত্যুর আগেই থানায় এসে জিডি করেছিল, তাই তার জিডির সূত্র ধরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা করা হয়নি।
সঞ্জিত সাহা/এসআর