ছুরিকাঘাতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন : স্বামী আটক
সিলেটের বিশ্বনাথে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করেছে এক পাষাণ্ড স্বামী। নিহত হালিমা বেগম হেলেনা (২২) উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের দিঘলী এলাকার নজরুল ইসলাম জুলফিকারের স্ত্রী। শুক্রবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ঘাতক নজরুল ইসলাম জুলফিকারকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, সকালে নিজ ঘরে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হালমাকে হত্যা করে ঘাতক স্বামী অটোরিকশার চালক নজরুল ইসলাম জুলফিকার। হালিমার শরীরে একাধিক (৭টি) আঘাতে চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় এলাকাবাসী মরদেহ নিয়ে নিজ ঘরে রামদাসহ বসে থাকা অবস্থায় ঘাতক স্বামী অটোরিকশা চালক নজরুল ইসলাম জুলফিকারকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রামদা উদ্ধার করেছে। তবে ঘাতক জুলফিকার মানসিক ভারসাম্যহীন বলে একাধিক সূত্রে জানায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর পূর্বে হালিমাকে বিয়ে করেন জুলফিকার। পরিবারের সবাইকে সকালের নাস্তা করিয়ে বিছানার চাদর ধোয়ার করার জন্য পুকুরে যান হালিমা। এসময় তার স্বামী জুলফিকার তাকে নিজেদের ঘরে আসার কথা বলে। হালিমা ঘরে আসার পর জুলফিকার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন।
এমন সময় ঘরের ভিতর থেকে একটি চিৎকার ভেসে আসলে হালিমার শ্বাশুড়ি এগিয়ে যান তাদের ঘরের দিকে। কিন্তু কেউ (জুলফিকার-হালিমা) ঘরের দরজা না খুললে তিনি (শ্বাশুড়ি) এলাকাবাসীকে খবর দেন। এলাকাবাসী ঘরের টিন (ছাউনি) কেটে জুলিফিকারকে হালিমার মরদেহ নিয়ে বসে থাকতে দেখতে পান। তখন এলাকাবাসী জুলফিকারকে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেন।
হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জুলফিকার আলীকে আটকের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, ছুরিকাঘাতে হত্যা করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে জুলফিকার।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/এমএস