কারাগারে ঝুমন দাস
সুনামগঞ্জে ধর্মকে ইঙ্গিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ায় ঝুমন দাসকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি উসকানিমূলক পোস্ট দেন ঝুমন দাস। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) থানায় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসবাদ করে শাল্লা থানা পুলিশ। রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার দেখানো হয় ঝুমনকে।
ঝুমন দাস সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার দুর্গম নোয়াগাঁও এলাকার গুপেন্দ্র দাসের ছেলে।
ঝুমন দাসকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর বোরহান উদ্দিন বলেন, ঝুমনকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল ইসলামের আদালতে হাজির করে জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করা হয়। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ঝুমন দাসের মা নিভা রানী দাস জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে ঝুমনকে পাশের নোয়াগাঁও বাজারে যাওয়ার জন্য বলেন। ওখানে গেলে পুলিশ সদস্যরা তাকে থানায় নিয়ে যান। থানায় তাকে সারাদিনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ঝুমনের ফেসবুক আইডিতে ধর্মকে ইঙ্গিত করে ‘ভন্ডামি-ইতরামি’ এসব শব্দ পোস্ট দেওয়া হয়। উসকানিমূলক এই পোস্ট দেওয়ার পর তিনদিন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। মঙ্গলবার তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এরআগে ফেসবুকে হেফাজতের সাবেক নেতা কারাবন্দি মামুনুল হকের সমালোচনার অভিযোগে গত বছরের ১৬ মার্চ গ্রেফতার হন ঝুমন দাস। সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি জেল খেটে ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি বাড়ি ফেরেন।
লিপসন আহমেদ/এসআর/জিকেএস