দুই গ্রামপুলিশকে পেটালেন যুবলীগ নেতা
জামালপুরের মেলান্দহে দুই গ্রামপুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সোহানুর রহমান শাহীন নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকালে আহত ওই দুই গ্রামপুলিশকে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে মারধরের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ ও চিমুর ছেলে বুলেট (৩০) এবং সুরেনের ছেলে গ্রামপুলিশ বিমল চন্দ্র (৪০)। অভিযুক্ত সোহানুর রহমান শাহীন মাহমুদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে শাহীনের ছোট ভাই শাকিলের সঙ্গে গ্রামপুলিশ বুলেটের কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে শাহীন ঘটনাস্থলে এসে বুলেটকে কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় আরেক গ্রামপুলিশ বিমল এগিয়ে এলেও তাকেও মারধর করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা সোহানুর রহমান শাহীন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ভুল বোঝাবুঝিও বলা চলে। বুলেটের বাড়ি আমার বাড়ির পাশেই। তাই অধিকার নিয়েই একটা চড় দিয়েছি। এছাড়া কিছুই না। তাকে হাসপাতালে আনতে লোকও পাঠিয়েছি।’
মেলান্দহ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী। তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম মিঞা জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তারা এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়অ হবে।’
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ভুক্তভোগীরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মো. নাসিম উদ্দিন/এসজে/এএসএম