ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রাতেও ওড়ে জাতীয় পতাকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে রাতেও ওড়ে জাতীয় পতাকা। রোববার (৭ আগস্ট) রাত পৌনে আটটার দিকে ওই ইউপি পরিষদে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক যুবক ভবনটির সামনের বারান্দায় বসে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত। কেউ কেউ ভবনের সামনের পুকুর পাড়ে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। চোখ ছানাবড়া হয় এত রাতেও ভবনটির সামনে পতাকা উড়তে দেখে। ভেতরে গিয়ে কাজে ব্যস্ত থাকা দুই উদ্যোক্তার কাছে এখনও কেন পতাকা ওড়ানো আছে জানতে চাইলে ভ্যাবাচেকা খান।
স্থানীয়রা জানালেন, বেশ কয়েকদিন যাবতই তারা এমনটি দেখে আসছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গেলে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। ভবনটির ঠিক সামনে পতাকার জন্য নির্ধারিত স্থানে সেটি টাঙানো আছে। যদিও কোনো অফিসে পতাকা উঠানো নামানো বিষয়ে সরকার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সূর্যাস্তের পর পতাকা টানিয়ে রাখার কোনো নিয়ম নেই। এর ব্যতয় হলে কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ডের বিধানও রয়েছে।
রাত আটটার দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে কথা হয় উদ্যোক্তা আরিয়ান আহমেদ সুমনের সঙ্গে।
পরিচয় গোপন রেখে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পতাকা উঠানো নামানোর জন্য গ্রাম পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া আছে। তবে আজকে কেন নামানো হয়নি জানি না। যাওয়ার সময় না হয় নামিয়ে দিয়ে যাবো।
স্থানীয় একাধিক যুবক জানান, বেশ কয়েকদিন যাবতই তারা দেখছেন এখানে রাতেও পতাকা টাঙিয়ে রাখা হয়। তবে সংশ্লিষ্ট কাউকে তারা বিষয়টি অবগত করেননি বলে জানান।
আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সাধারণত দুপুরের মধ্যে চলে আসি। যে কারণে বিষয়টি খেয়াল করা হয় না। মূলত গ্রাম পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া আছে এ কাজটি করার জন্য। কেন পতাকা নামানো হলো না সে বিষয়টি আমি এখনই জানবো।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এফএ/জেআইএম