ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নির্বাচনে কারচুপি : সিইসিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সমন

প্রকাশিত: ০৭:৫৯ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে ভোট গণনায় ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে এক ভোটে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ১০ জনকে ১৫ ফেব্রুয়ারি সমনের জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনী ট্র্যাইব্যুনাল (যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত) আদালতের বিচারক উৎপল চৌধুরী মামলাটি গ্রহণ করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। পরে সোমবার সমনের জবাব দেয়ার দিন ঘোষণা করেন আদালত।

বিবাদী হলেন সোনারগাঁও পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়া নাঈম আহম্মেদ, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মাইনউদ্দীন মেম্বার, শামীম মীর, আহসান জামিল ভূইয়া, কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ইয়াছিনুল হক, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন অফিসার, নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার, সোনারগাঁ পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক।

বাদীপক্ষের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। পরে আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি সমনের জবাব দেয়ার নির্দেশ দেন।

মামলায় অভিযোগ, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর সোনারগাঁও পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর আলম কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। নাঈম আহম্মেদ, মাইনউদ্দীন মেম্বার, শামীম মীর ও আহসান জামিল ভূইয়া কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

গোয়ালদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল দুই হাজার ৫৮১ জন। মোট ভোট কাস্ট হয় দুই হাজার ১৪২টি। নির্বাচনের দিন জাহাঙ্গীর আলমের এজেন্টকে অলিখিত রেজাল্ট শিটে ও অন্যান্য অলিখিত কাগজে সই নেয়া হয়। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগেই তার এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়।

প্রার্থীরা প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে যোগসাজশে অনিয়ম ও কারচুপি করে। এ বিষয়ে পুনরায় ভোট গণনার আবেদন করা হলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের পাঞ্জাবি প্রতীকে ৫৩৮ ভোট ও নাঈম আহম্মেদকে টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৫৩৯ ভোট দেখিয়ে বেআইনিভাবে নির্বাচিত দেখানো হয়েছে।

মো. শাহাদাত হোসেন/বিএ

আরও পড়ুন