কক্সবাজার জেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল সম্পাদক মুজিব
সবাইকে পেছনে ফেলে জেলা আওয়ামী লীগের আগামী তিন বছরের জন্য নেতৃত্বের ভার পেলেন অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা ও মুজিবর রহমান। রোববার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সভাপতি হিসেবে অ্যাড. সিরাজুল মোস্তাফা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মুজিবুর রহমানকে মনোনীত করার কথা জানান।
বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কক্সবাজার সার্কিট হাউসে জেলা ও উপজেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, আগামী তিন বছর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের জন্য নেত্রী দুটি নাম আমাকে দিয়েছেন। তাদের নেতৃত্বে দলের জন্য কাজ করতে তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি নির্দেশনা দেন।
কিন্তু ১৩ বছর পর সম্মেলন হয়েও কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে নিজের মতামত তুলে ধরতে না পারায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
তৃণমূলের নেতা কর্মীরা আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায় ভোট হলে তারা তাদের পছন্দের ও ক্লিন ইমেজের নেতা নির্বাচন করতে পারতেন। কিন্তু সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা।
তৃণমূলের কাউন্সিলররা আরও বলেন, সভাপতি পদে ৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছিল। সেই মতে, কাউন্সিল ও সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে জেলা আওয়ামী লীগ। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে তৃণমূলের কাউন্সিলরদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য যোগাযোগ রক্ষা করেন। সম্মেলনকে ঘিরে প্রার্থী কিংবা নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা কিংবা অপ্রীতিকর কোনো টুশব্দও হয়নি। সম্মেলন নিয়ে পুরো জেলায় বিরাজ করছিল উৎসবের আমেজ। কারা আগামীর নেতৃত্বে আসবেন এমনটি আলোচনায় সরব ছিল রাজনৈতিক অঙ্গন। কিন্তু ভোট দিতে না পারায় তাদের সেই আশা ভঙ্গ হয়েছে।
ভোট বঞ্চিত তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, তারা দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দেখেছেন। অনেকে হয়েছেন নেতাদের রাজনৈতিক কোন্দলের বলি। বিভিন্নভাবে হয়রানিও হয়েছেন তারা। নেতারা অনেকে পাশে দাঁড়াননি তাদের। এজন্য কারও দ্বারা ব্যবহৃত না হয়ে নতুন মুখের স্বপ্নও দেখছিলেন তারা। কিন্তু কাউন্সিল না করে কমিটি ঘোষণা করায় স্বপ্ন ভেঙ্গেছে তৃণমূলের।
এরপরও সিলেকশন হলেও ১৩ বছর পর নতুন নেতৃত্ব পেয়ে অনেকে উজ্জীবিত হয়েছেন। নতুন নেতৃত্বকে সরাসরি কিংবা মুঠোফোনে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকে। এ থেকে বাদ যাননি সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়া নেতারাও।
সায়ীদ আলমগীর/এসএস/এমএস