‘একসঙ্গে এতো লাশ আর দেখিনি’
দুপুর ১টা। বিকট শব্দ শুনে দৌড়ে রেললাইনে গিয়ে দেখি একটি মাইক্রোবাসকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ট্রেন। অনেক মানুষ মাইক্রোবাসের ভেতরে আটকে রয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রেনটি থামে। ততক্ষণে সেখানে অনেক মানুষ জড়ো হন। এভাবেই মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন উপজেলার পূর্ব খৈয়াছরা এলাকার মোজাহের হোসেন।
তিনি বলেন, মাইক্রোবাসে থাকা সবাইকে জীবন্ত মনে হচ্ছে। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা এসে একে একে ১১টি মরদেহ উদ্ধার করে। তিনজনকে জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। একসঙ্গে এতো লাশ আর দেখিনি।
রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওইটা আমি লক্ষ্য করিনি। তিনি থাকলেতো এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটতো না।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আমান বাজার এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসযোগে খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে আসেন ১৪ যুবক। দুপুর ১টার দিকে ফেরার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতি তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন। আহতদের প্রথমে মিরসরাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরএইচ/এএসএম