ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নাটোরে ট্রাক চালককে পুলিশি নির্যাতন : মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

নাটোর শহরতলীর দত্তপাড়ায় এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে ট্রাক চালক হাফিজুর রহমানকে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে স্থানীয় জনতা ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

এসময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী নাটোর-ঢাকা মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে। রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত অবস্থায় ট্রাক চালক হাফিজুর রহমানকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাফিজুর রহমান চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকেল ৫টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি বাইয়ান হিরার নেতৃত্বে শহরতলীর দত্তপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে যানবাহনের কাগজপত্র চেকিং করা হচ্ছিল। এসময় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে নাটোরগামী একটি সার বোঝাই ট্রাককে ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য মোস্তফা বাবুল (ঝিনাইদহ ট-১১-০৭৪১০) থামাতে বলে। এসময় ট্রাক চালক হাফিজুর রহমানকে কাগজপত্র দেখাতে বলে এবং ৫শ টাকা চাঁদা দাবি করে ওই পুলিশ সদস্য। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেলে পুলিশ সদস্য মোস্তফা ট্রাকচালক হাফিজুর রহমানকে নামিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় স্থানীয় শ্রমিক এবং এলাকাবাসীরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে নাটোর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় রাস্তার দুই পার্শ্বে যানজটের সৃষ্টি। পরে খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আতিয়ুর রহমান, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মুন্সী সাহাবুদ্দিন, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সহকারী পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে আহত ট্রাকচালক হাফিজুর রহমানকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় ঘণ্টাবাপী মহাসড়ক অবরোধ থাকার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে যান চলাচাল স্বাভাবিক হয়।
 
সারবাহী ট্রাকের যাত্রী সার মালিক মতিউর রহমান বলেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে নাটোরের দিঘাপতিয়া এলাকায় যাচ্ছিলেন তারা। পথে দত্তপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ট্রাকটিকে থামাতে বলে। এসময় এক পুলিশ সদস্য কাগজপত্র দেখতে চাইলে চালক কাগজপত্র দেখান। এসময় ওই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে চালকের তর্কবির্তক হলে চালককে ট্রাক থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ট্রাক চালককে উদ্ধার এবং পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে।

স্থানীয় জাহিদ হোসেন নামের এক শ্রমিক জানান, নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্টের নামে যানবাহন থেকে চাঁদা তুলে আসছে হাইওয়ে পুলিশ। চাঁদা না দিলে মারধরসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে পুলিশ সদস্যরা।

নাটোরের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মুন্সী সাহাবুদ্দিন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালিন সময়ে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের কিছুটা সমস্যা হয়। পরে স্থানীয় জনতা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

রেজাউল করিম রেজা/ এমএএস