সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে নিহত ৩ সহোদরের বাড়িতে শোকের মাতম
ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে নিহত তিন সহোদরের বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ফেনী শহরের নাজির রোড এলাকার রহুল আমিন ভবনের নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা তিন ভাই ভবনের নিচতলায় সেপটিক ট্যাংকের ওপর বসবাস করতেন।
নিহত তিন ভাই হলেন মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সৈয়দ আলী মুন্সির ছেলে নুর ইসলাম মুন্সি, মনিরুজ্জামান মুন্সি ও আবদুর রহমান মুন্সি। তাদের মৃত্যুর সংবাদে পঞ্চকরণ গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনরা আহাজারি করছেন। তবে মরদেহ এখনো বাড়িতে পৌঁছেনি।
স্বজনরা জানান, নিহত তিন ভাই ১৫-২০ বছর ধরে ফেনীতে দিনমজুরের কাজ করতেন। নুর ইসলাম মুন্সির দুই ছেলে ও স্ত্রী, মনিরুজ্জামান মুন্সির দুই ছেলে রয়েছে। রহমান মুন্সির বাড়িতে কেউ নেই।
নিহত তিন সহোদর ছোট ভাই আল-আমিন মুন্সি ফোনে বলেন, আমরা এখনো থানায় অবস্থান করছি। কোনো ধরনের মামলা এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ আনার জন্য চেষ্টা চলছে। থানা পুলিশের ঝামেলা মিটিয়ে যতদ্রুত সম্ভব আমরা রওনা করবো। বাড়িতে আসার পরই জানাজার সময় নির্ধারণ করা হবে। বাড়ির পাশে ঐতিহ্যবাহী মুন্সিবাড়ি জামে মসজিদের পাশেই তিন সহোদরের জন্য কবর খোঁড়ার কাজ চলছে।
পঞ্চকরণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফোনে বলেন, ‘ওরা তিনজনই খুব শান্তিপ্রিয় ছিল। তাদের মরদেহ আনার প্রক্রিয়া চলছে। আমার পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাত্মক সহায়তার চেষ্টা করা হবে।’
মঙ্গলবার সাড়ে ১১টার দিকে ফেনীর নাজির রোডের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোণের পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে আহত দুই ভাইকে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। একই সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে আরেক ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন।
এসআর/জিকেএস