টাঙ্গাইলে শফিকুল হত্যা: পরকীয়া প্রেমিকাসহ গ্রেফতার ৩
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শফিকুল ইসলাম (৪৫) হত্যার মূল হোতা ও নিহতের পরকীয়া প্রেমিকা মোর্শেদা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে এ ঘটনায় জড়িত আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মোর্শেদা (৩৩) নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের মানড়া নয়াপাড়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী। এছাড়া বাকি দুই আসামিও একই এলাকার বাসিন্দা।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে উপজেলার মানড়া নয়াপাড়া এলাকার কালভার্টের নিচ থেকে শফিকুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন এ ঘটনায় শফিকুলের স্ত্রী রাহেলা বেগম বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মনোয়ার হোসেন তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই রাতেই শফিকুল হত্যার মূল আসামি মোর্শেদাকে পাকুটিয়া থেকে গ্রেফতার করে।
ওসি বলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার মোর্শেদা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি জানান, নিহত শফিকুলের সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। ঘটনার রাতে শফিকুল মোর্শেদার বাড়িতে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করেন। এসময় মোর্শেদা শফিকুলকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বললে শফিকুল বিষ খেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন। একপর্যায়ে মোর্শেদার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করলে তিনি শফিকুলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এরপর মুখে কাপড় পেঁচিয়ে শফিকুলকে হত্যা করেন। পরে মোর্শেদার দেবর অটোরিকশাচালক বারেক ও কালা চানকে সঙ্গে নিয়ে মরদেহটি বস্তায় ভরে অটোরিকশায় করে কালভার্টের নিচে ফেলে দেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মোর্শেদার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অটোরিকশার চালক আব্দুল বারেক মিয়াকে বৃহস্পতিবার জেলার মির্জাপুর এবং অপর আসামি কালা চানকে নাগরপুরের কেদারপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরিফ উর রহমান টগর/এমআরআর/জেআইএম