নরসিংদীতে যুবকের দুই হাতের কবজি কর্তন: দুই আসামি কারাগারে
নরসিংদীর পলাশে হাদিউল ইসলাম (১৯) নামের এক যুবকের দুই হাতের কবজি কাটার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে জালাল মিয়া (৪২) ও শিবপুর উপজেলার মিয়ারগাঁও এলাকার আলফাজ উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া (৩৫)।
ভুক্তভোগী হাদিউল ইসলাম শিবপুর উপজেলার বাড়ৈগাঁও দক্ষিণপাড়ার মোর্শেদ মিয়ার ছেলে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গ্রেফতার দুজনসহ অন্যান্য আসামিরা চাকরি দেওয়ার কথা বলে গত ২৮ জুলাই হাদিউল ইসলামকে পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা এলাকায় নিয়ে যান। পরে রাত দেড়টায় শহিদুলের কলাবাগানে নিয়ে হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারপিট করেন। এ সময় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হাদিউলের দুই হাত থেকে কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। পরে অভিযুক্তরা হাত এবং মুখের বাঁধন খুলে দিয়ে চলে যান।
হাদিউলের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন।
এ ঘটনায় আহত হাদিউলের বাবা মোর্শেদ মিয়া বাদী হয়ে জালাল (৪২), বৃষ্টি বেগম (২৫), সাজ্জাদ হোসেন (২০) ও রুপাকে (৩৫) আসামি করে পলাশ থানায় মামলা করেন। পরে আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে জালাল ও ফারুককে গ্রেফতার করা হয়।
নরসিংদী ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, হাদিউলের সঙ্গে তার চাচি বৃষ্টি বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এর জের ধরেই তাকে ডেকে নিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার জালালের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও খুনসহ ১২টি মামলা বিচারাধীন আছে। গ্রেফতার দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সঞ্জিত সাহা/এসআর/এএসএম