ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গেল বছর খুলনা বিভাগে ৮৪৬ শিশু সহিংসতার শিকার

প্রকাশিত: ১১:১০ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

বিদায়ী বছরে (২০১৫) খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় অন্তত ৮৪৬ জন শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে মেয়ে শিশু ৫৬১ জন আর ছেলে শিশু ২৮৫ জন। এই শিশুরা হত্যা, ধর্ষণ, পাচারসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছে। সংবাদপত্রের তথ্য এবং অভিযোগের ভিত্তিতে যাচাই বাছাই করে রাইটস যশোর শিশু সহিংসতার এ চিত্র তুলে ধরেছে।
 
রাইটস যশোরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর খুলনা বিভাগের দশ জেলায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১০৩ শিশু। এর মধ্যে ছেলে শিশু রয়েছে ৫৪ ও আর মেয়ে রয়েছে ৪৯ জন। এই সময়ে অন্তত ১১৪ জন শিশু পাচারের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ছেলে শিশু ৬৯ ও মেয়ে শিশু রয়েছে ৪৫ জন।

গত বছর এই দশ জেলায় ১২০ মেয়ে শিশু ধর্ষণ এবং ১০৮ মেয়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। অপহরণের শিকার ৮৫ জনের ৫২ জনই মেয়ে শিশু, ছেলে ৩৩। শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৪৮ ছেলে ও ৩৩ মেয়ে মিলে মোট ৮১ জন। আত্মহত্যা করা ৯০শিশুর মধ্যে ৬৩ জনই মেয়ে এবং ২৭ জন ছেলে।

বাল্য বিয়ের ৬৪টি ঘটনার মধ্যে ৬৩টির শিকার মেয়ে শিশু। নিখোঁজ ৫৮ শিশুর মধ্যে ৪০ জন ছেলে, মেয়ে ১৮। যৌতুক নিয়ে নির্যাতনের শিকার ৪ মেয়ে শিশু এবং অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছে ৪ মেয়ে শিশু। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ ছেলে শিশু। বিএসএফ’র হাতে নিহত হয়েছে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে শিশু। বিএসএফ’র হাতে অপহৃত হয়েছে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ ছেলে। বিগত বছরটিতে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছে ৫ ছেলে শিশু।
 
রাইটস যশোরের ট্রেনিং অফিসার সরোয়ার হোসেন জানান, খুলনা বিভাগের শিশু নির্যাতনের এই চিত্র সংবাদপত্রের তথ্য এবং অভিযোগের ভিত্তিতে যাচাই বাছাই করে তুলে আনা হয়েছে। যদিও শিশু নির্যাতন কিম্বা পাচারের এ চিত্রের চেয়ে বাস্তব অবস্থা আরও ভয়াবহ। কারণ সব ঘটনা গণমাধ্যম পর্যন্ত পৌঁছায় না।
 
এদিকে, শিশু পাচাররোধে সামাজিক সচেতনতার বিষয়ে বুধবার মিডিয়া কর্মীদের দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ দিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর।

বুধবার সকালে সংস্থাটির নিজস্ব কনফারেন্স রুমে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে পাচার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে আলোচনা করেন, রাইটস যশোরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার উম্মে কাওসার সুমনা ও ট্রেনিং অফিসার সরোয়ার হোসেন। কর্মশালায় বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন।

মিলন রহমান/এমএএস/আরআইপি