১৬ জনের ত্রাণ আত্মসাতের চেষ্টা, উদ্ধার করলো পুলিশ
নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদ-সংলগ্ন একটি কম্পিউটারের দোকানে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে রাখা বন্যার্তদের ত্রাণের খাবার প্যাকেট জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে নুরপুর বোয়ালি বাজার থেকে ত্রাণের পাঁচটি বড় বস্তা জব্দ করে পুলিশ। বস্তাগুলোতে চাল, ডাল, তেল, লবণসহ বিভিন্ন খাবারের ১৬টি ছোট বস্তা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ ওরফে পাখির মোবাইলে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
খালিয়াজুরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচএম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ত্রাণ সোমবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে রাখেন চেয়ারম্যান আবু হানিফ। কিন্তু সেখান থেকে ১৬ জনের খাবার কে বা কারা একটি কম্পিউটারের দোকানে লুকিয়ে রাখেন। সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে খালিয়াজুরি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব মোহনন্ত ঘটনাস্থল থেকে তা জব্দ করেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘পাঁচটি সারের বস্তায় ১৬ জনের খাবার জব্দ করা হয়েছে। দোকানটির মালিক নাছিম পলাতক। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নাছিম চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ লোক বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তিনি পরিষদে অস্থায়ীভাবে উদ্যোক্তার কাজ করেন বলেও জানা গেছে। চেয়ারম্যানকেও পরিষদে ডেকে আনা হয়েছে। চেয়ারম্যানের দাবি, তিনি সন্ধ্যায় অনেকগুলো খাবার প্যাকেট পরিষদে রেখে তালাবদ্ধ করে যান। কীভাবে ওই দোকানে প্যাকেটগুলো পাচার হয়েছে তা তার জানা নেই। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’
এ ঘটনায় মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মুসা মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যানের নিয়োগ দেওয়া উদ্যোক্তা নাসিম আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন খালিয়াজুরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম।
এইচ এম কামাল/এসআর/এএসএম