নেত্রকোনায় পানি কমলেও আশ্রয়কেন্দ্রে লক্ষাধিক মানুষ
নেত্রকোনায় সার্বিকভাবে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে মদন ও খালিয়াজুরিতে পানি আরও বাড়ছে। অন্য উপজেলাগুলোতে পানি অপরিবর্তীত আছে। ৩২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার ৬৮৮ মানুষ ঠাঁই নিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকত জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টায় বন্যার পানি কমতে শুরু করছে। দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি এখন বিপৎসীমার ৫৮৭ সেন্টিমিটার নিচে আছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৮৯ মিটার। তবে উব্দাখালি নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। খারিয়াজুরির ধনু নদের পানিও বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে বন্যার পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম জানান, শনিবার রাত থেকে কলমাকান্দায় পানি কমছে। উপজেলায় প্রায় ৯২ শতাংশ এলাকা নিমজ্জিত ছিল। এখনো প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা পানির নিচে আছে।
দুর্গাপুরের ইউএনও রাজীব উল আহসান জানান, দুর্গাপুরে বন্যা পরিস্থিতি বেশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে। পৌর শহরে এখন পানি নেই। তবে গাঁকান্দিয়া, চণ্ডীগড়, বিরিশিরিসহ কয়েকটি ইউনিয়নে পানি ধীর গতিতে নামছে। পানি কমলেও দুর্ভোগ এখনো কমেনি। ওই দুই কর্মকর্তা জানান, দুটি উপজেলায় ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো ৮ হাজার জন আশ্রিত আছেন।
মদনের ইউএনও বুলবুল আহমেদ জানান, মদনে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গোবিন্দ্রশ্রী, তিয়শ্রী, ফতেপুরসহ বেশ কিছু ইউনিয়নের প্রায় ৯৫ শতাংশ এলাকা পানির নিচে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, পানি কমলেও এখনো ৩২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখের বেশি মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন। এছাড়া তাদের সঙ্গে প্রায় ১৫ হাজারের মতো গোবাদি পশু নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার নতুন করে আরও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার প্রদান করা হচ্ছে।
এইচ এম কামাল/এফএ/জিকেএস