খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
টানা ভারি বর্ষণে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও বাড়িঘর ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলা শহর ও দীঘিনালার মাইনি নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
মেরুং ইউনিয়নের চিটাগাংপাড়াসহ অন্তত ৫০টি বসতঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় অবস্থান নিয়েছেন। পানির নিচে তলিয়ে গেছে মৌসুমি শাকসবজি ও বীজতলা।
টানা ভারি বর্ষণ এবং ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনের নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
দীঘিনালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিক জানান, ভারি বর্ষণে মেরুংয়ের আউশ মৌসুমের ১৮ হেক্টর জমির বীজতলা ও গ্রীষ্মকালীন ৪০ হেক্টর জমির সবজি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা জানান, ভারি বৃষ্টিপাতে নদীর পানি বেড়ে উপজেলার মেরুংয়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পাহাড় ধসে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতে পাহাড়ের পাদদেসে বসবাসকারী রোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু জানান, খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকায় আটটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এসআর/জিকেএস